মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে টয় ট্রেনের (toy train) কু ঝিক ঝিক...মাথায় তুষার শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার (kanchenjunga)মুকুট। গা বেয়ে ধাপে ধাপে চা-পাতার আবরণ। অলঙ্কারের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কমলালেবু। দার্জিলিং মানেই সম্মোহন। দার্জিলিং (Darjeeling) মানে রূপেও ভুলে যাওয়া, ভালবাসাতেও।


সব ট্রয় ট্রেনেই ভিস্তাডোম
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে ছুটে চলেছে টয় ট্রেন। কাচে মোড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা। মাথার ওপর স্বচ্ছ ছাউনি, ডাইনে বাঁয়ে পাহাড়ি গাছেদের হারিয়ে যাওয়া। যেন হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় সব কিছু। পর্যটনের মরশুমে এবার এনজিপি থেকে দার্জিলিং রুটের সব ট্রয় ট্রেনেই ভিস্তাডোম কোচ চালু করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। 

 ২টি অতিরিক্ত টয় ট্রেন
শুধু এখানেই শেষ নয়, আরও সুখবর আছে শৈলশহর প্রেমীদের জন্য । পাশাপাশি, জয় রাইডে দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন ও ঘুম থেকে দার্জিলিং ২টি অতিরিক্ত টয় ট্রেন চালু করা হয়েছে। গরমের মরশুমে এপ্রিল, মে ও জুন পর্যন্ত মিলবে এই ২টি ট্রেনের পরিষেবা। পর্যটকরাও দারুণ খুশি এই পরিষেবা পেয়ে। 

 শৈলশহরে জমছে ভিড়। এদিকে কমছে ঠান্ডাও। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে । আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Office) সূত্রে খবর, আজ-কালও মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। এরই মধ্যে পাহাড়ের গায়ে ফুটেছে নানা রঙের ফুল। কোভিড-মেঘ কাটিয়ে পর্যটন ব্যবসাও আস্তে আস্তে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি শৈলশহরে ঘুরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন ব্যবসায় তিনি বিশেষ উৎসাহ দিয়েছেন। পর্যটক আসছেন ভিন রাজ্য থেকেও। 


তবে  দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং রুটে হিমকন্যা, কার্শিয়াং থেকে মহানদী রুটে রেড পান্ডা ও এনজিপি থেকে রংটং রুটে স্টিম জঙ্গল টি সাফারি টয় ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে। প্রয়োজনে এই টয় ট্রেন ফের চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে। 

সবমিলিয়ে গরমের ছুটিতে পাহাড়প্রেমীদের জন্য একগুচ্ছ উপহার নিয়ে হাজির দার্জিলিং।