রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে টয় ট্রেনের (toy train) কু ঝিক ঝিক...মাথায় তুষার শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার (kanchenjunga)মুকুট। গা বেয়ে ধাপে ধাপে চা-পাতার আবরণ। অলঙ্কারের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কমলালেবু। দার্জিলিং মানেই কাঞ্চনজঙ্ঘার সম্মোহন। সোনালি রোদে সোমবার ঝকঝক করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর তাই দেখতে ভিড় জমেছে পর্যটকদের। রবিবারও কুয়াশায় মোড়া ছিল পাহাড়।
গত কয়েকদিন ধরেই পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪-৫ ডিগ্রিতে। কুয়াশা ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে না পেরে কিছুটা হতাশই হয়ে শৈলশহর। এদিন বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের পর আনন্দে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।
শীতের দার্জিলিং
দার্জিলিংয়ে তীব্র শীত পড়ে। ডিসেম্বরে শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারির শেষ অবধি কনকনে ঠান্ডা থাকে। এই সময় রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। নিয়মিত তুষারপাত এখানে না হলেও, তীব্র ঠান্ডায় গত দু বছর মাঝে মধ্যেই তুষারপাত দেখেছে শৈলশহর । এই সময়ে দার্জিলিং ভ্রমণ অন্যরকম স্বাদ দেয়। শীতের আমাজ সেই সঙ্গে ঝকঝকে কাঞ্চন দর্শন, এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আজ শীতল দিন আর ঘন কুয়াশার দাপটও যথেষ্ট । মালদা ও দুই দিনাজপুর, উত্তরবঙ্গের এই ৩ জেলায় মূলত কুয়াশা ঘেরা সকাল। তবে কয়েকদিন পরই কুয়াশার জাল ছিঁড়ে দেখা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা।
তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও দক্ষিণবঙ্গে জমিয়ে শীতের আমেজ আরো দু-দিন। পশ্চিমের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ। বুধবার থেকে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। আজ ও কাল রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ চলবে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় শীতল দিনের পরিস্থিতি। আর ৫ জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা। দৃশ্যমানতার দুশ মিটারের নিচে নামবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নীচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।