মলয় চক্রবর্তী, দার্জিলিং: ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল রাজ্য। শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ীর ক্যানেল রোডে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের (Road Accident)। মৃত দুজনেরই বাড়ি শিলিগুড়ি শহরে। 


জানা গিয়েছে, একজনের নাম নয়না আগারওয়াল বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। বাড়ি শিলিগুড়ির মিলনপল্লীতে (Siliguri Milanpalli)। অন্যদিকে, ঘটনায় মৃত অপর ব্যাক্তির নাম রামাচল গুপ্তা। বয়স আনুমানিক ষাট. বাড়ি শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির রোডে। এদিন একটি স্কুটি করে এই দুইজন ক্যানেল রোড ধরে আসছিলেন। পেছন থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান সজোরে তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ তাঁদেরকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


প্রসঙ্গত, সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। (Suvendu Adhikari)


মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। এমাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।


আরও পড়ুন, ফের গঙ্গা ভাঙ্গনের গ্রাসে মানিকচক, ফসল নিয়ে পালাচ্ছেন স্থানীয়রা


মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার আগেও হয়েছে বাংলার ছাত্র। মুর্শিদাবাদে, বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের (Student)। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল সেবার মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল সামসেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০২২ সালে। মহেশতলা ডাকঘরের কাছে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক পরীক্ষার্থীর।