সনত্‍ ঝা ও মলয় চক্রবর্তী, দার্জিলিং: প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই ক্ষোভ। প্রার্থী হতে না পেরে, শিলিগুড়িতে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ বিজেপি নেতার। নিশানায় কি সিপিএম থেকে আসা, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ? জল্পনা তুঙ্গে। কটাক্ষ তৃণমূলের। সাময়িক রাগ বলে সাফাই শঙ্করের।


শিলিগুড়িতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই ক্ষোভ। প্রার্থী হতে না পেরে, বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ বিজেপি নেতার।বিক্ষুব্ধ নেতার নিশানায় কি সিপিএম থেকে আসা, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ? শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। 


২২ জানুয়ারি, ৪৭ ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। একদিন আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামেরা। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অশোক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপিও।


২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাহলে কি মেয়র হওয়ার দৌড়ে অশোক বনাম শঙ্করের লড়াই দেখতে চলেছে শিলিগুড়িবাসী?


একদিকে, যখন এই জল্পনা, তখন এ নিয়ে সামনে চলে এল প্রার্থী নিয়ে গেরুয়া শিবিরের ক্ষোভ। শিলিগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাণী পালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই এ নিয়ে ক্ষোভ দেখান, ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বিজেপি নেতা প্রদীপ চৌধুরী। প্রথমে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা প্রদীপ চৌধুরী বলেছেন, ওই ওয়ার্ডে বিজেপি করার মতো কেউ নেই। আমার জন্য ওখানকার ছেলেরা সব বিজেপি করে। আপনাকে সম্মান করি। ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হেরে যাবেন, এটা আমার চ্যালেঞ্জ। ৩০০ ভোটও পাবে না। কোভিডের সময় কেউ আসেনি। ওই ওয়ার্ডে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে সব আমি করেছি স্যর। আমি পার্টির জন্য প্রাণ দিয়েছি স্যর। আমি এক কোটি টাকা খরচও করেছি।


দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত বলেন, শোনো, শোনো...ভাষণ দিয়েছো তো?বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা বলেন, আমি ভাষণ দেইনি স্যর। মন থেকে কথাগুলো বলেছি।


দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ এলাকা ছাড়ার পর, জেলা বিজেপি সভাপতি ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মনকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। নাম না করে, অন্যদল থেকে আসা নেতাদের দিকে ইঙ্গিতও করেন তিনি।


বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা প্রদীপ চৌধুরী বলেছেন, আপনি আমার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রেসিডেন্ট, আপনি আমার অভিভাবক। এই অন্যায় কেন হল?  আমার কথা হচ্ছে, আপনি আমার দলের বিধায়ক। আমি এতদিন ভারতীয় জনতা পার্টিতে আছি। আমি অন্যদলের ডিসিশন কেন নেব? যাঁরা অন্য দল থেকে এসে আমাদের এখানে রাজত্ব করছে, হতে দেব না।


প্রদীপ চৌধুরীর সাফ কথা, আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টিকিট দেওয়া হয়নি। যাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, সে জিততে পারবে না।


বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ গুরুত্ব দিতে নারাজ বামেরা। অন্যদিকে, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


তৃণমূলের রাজ্য কোর কমিটির সদস্য গৌতম দেব বলেছেন,  কলকাতাতেও এরকম গণ্ডগোল হয়েছে। ওদের দলে প্রায়ই এরকম হয়। এটাই ওদের দলীয় সংস্কৃতি।


অশোক ভট্টাচার্য  বলেছেন, বিজেপির ভিতরে কী হয়েছে তা নিয়ে মন্তব্য করব না। আমাদের কোয়ালিটির প্রার্থী আছে। তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে আমাদের লড়াই হবে।


অন্যদিকে, শঙ্কর ঘোষ বলেছেন,   যোগ্যদেরই প্রার্থী করা হয়েছে, সাময়িক ক্ষোভ থাকবে।


এর আগে কলকাতাতেও প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়েছিল বিজেপি শিবিরে। এবার একই ছবি শিলিগুড়িতে।