মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ের কার্শিয়ং-এ গথেলস সাইডিং-এ ( Goethals Siding ) টয় ট্রেন লাইনচ্যুত (Toy Train derailed) হয়েছে। সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। একটি ডিজেল ইঞ্জিন একটি স্টিম ইঞ্জিনকে (Steam Engine) টেনে নিয়ে ওয়ার্কশপে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিনে বারবার বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে। টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ বৃষ্টি কি না দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যান্ত্রিক ত্রুটি কি না , তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কীভাবে দুর্ঘটনা ?
জানা যাচ্ছে, দার্জিলিং স্টেশন (Darjeeling Railway Station) থেকে তিঙ্গারিয়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপে (Railway Workshop) যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। টয় ট্রেনের স্টিম ইঞ্জিনটি কার্শিয়ংয়ের গথেলস সাইডিংয়ে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি ডিজেল ইঞ্জিন একটি স্টিম ইঞ্জিনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ওয়ার্কশপের দিকে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সকাল ১২ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল।
ব্যাহত পরিষেবা, জাতীয় সড়কে যানজট
টয় ট্রেন চলাচলের জন্য পাহাড়ে যেহেতু একটিই রাস্তা। তাই টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক টয় ট্রেন চলাচল পরিষেবা। পাশাপাশি জাতীয় সড়কের মাঝে এই দুর্ঘটনার জেরে প্রভাব পড়ে যান চলাচলেও। যেহেতু ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে, তাই সেখানে তৈরি হয় প্রবল যানজট। যে যাত্রীরা ট্রেন ধরবেন বলে বেরিয়েছিলেন, তাঁদেরও পড়তে হয় ঝক্কির মাঝে। যে সময়টা রাস্তায় ট্রেন সরানোর কাজ হচ্ছিল, তখন জাতীয় সড়কের একদিক বন্ধ করে কাজ চলায় তৈরি হয় লম্বা গাড়ির লাইন।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টি সহ একাধিক কারণের জেরে মাঝে একাধিকবার টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল ১০টায় নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশন থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় টয় ট্রেন। আর দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ির (New Jalpaiguri) দিকে ট্রেনটি রওনা দেয় সকাল ৯ টা নাগাদ। ১৮৮১ সালে দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে মিটারগেজ লাইনের উপর দিয়ে প্রথম চালু হয় টয় ট্রেন। সমুদ্র তল থেকে ২ হাজার ২৫৮ মিটার উঁচুতে। ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর, দার্জিলিঙের টয় ট্রেনকে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করে The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization বা UNESCO। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, ডিএইচআর বা টয় ট্রেন ২ ফুট (৬১০মিমি) গেজ রেলপথে চলাচল করে নিউ জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের মধ্যে। এই রেলপথে সবথেকে বড় আকর্ষণ হল পাহাড়ি পথ, ভারতের সর্বোচ্চ রেলওয়ে স্টেশন ঘুম, বাতাসিয়া লুপ, কার্শিয়ং।
আরও পড়ুন- গোপালের সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে,ডিভোর্স, বাড়ির সামনে আলিশান গাড়ি, কী করতেন হৈমন্তী