সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, হাওড়া : গোপাল দলপতির ( Gopal Dalapati ) সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হৈমন্তী ( Haimanti Ganguly ) । কিন্তু পরে ডিভোর্স হয়ে যায়। জানাল তাঁর পরিবার। আজ হাওড়ায় হৈমন্তীর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যায় এবিপি আনন্দ। উত্তর বাকসাড়া রোডে এই বাড়িতেই থাকেন হৈমন্তীর বাবা-মা-ছোট বোন।
পরিবারের দাবি, বাড়ি লোকের অসুস্থতার খবর পেয়ে ১০-১২ দিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায়শই তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকত বিলাসবহুল গাড়ি। এই গাড়িতে যাতায়াত করতেন হৈমন্তী। কিন্তু হৈমন্তী কী করতেন? কী পেশার সঙ্গে যুক্ত এনিয়ে কোনও মন্তব্য় করতে চায়নি তাঁর পরিবার।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে এসেছে এক 'রহস্যময়ী নারী'র নাম। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে, হৈমন্তী গাঙ্গুলি নামে এক রহস্যময়ীর নাম উঠে আসে। কে সেই 'হৈমন্তী'? কেন কুন্তল তাঁর নাম বললেন? কোথায় সেই রহস্য়ময়ী 'হৈমন্তী'? কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গাঙ্গুলি হলেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে খোঁজ মিলছে না গোপাল দলপতির। গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী-র নামে নথিভুক্ত মুম্বইয়ের এক সংস্থা সিরোকো পার্টনার্সের নাম। সূত্রের দাবি, মুম্বইয়ের অভিজাত নরিম্য়ান পয়েন্টসেই না কি রহস্য়ময়ী হৈমন্তীর অফিস! সিবিআই সূত্রে দাবি, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় কোথায়? গোপাল দলপতিকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরে গোপাল দলপতি বলেন, তিনি জানেন না। কয়েক বছর আগেই স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর কোনও ফোন নম্বরও তাঁর কাছে নেই।
এরপর থেকে এই রহস্যময়ীর খোঁজ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, কুন্তলের মুখে তিনি কালীঘাটের যে কাকুর কথা শুনেছিলেন, তাঁর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। অন্যদিকে, এবার কুন্তল ঘোষ দাবি করছেন গোপাল দলপতির স্ত্রীর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। আর এর মধ্যেই, বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কালজয়ী ছোটগল্প প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল! 'হৈমন্তী' গল্পে রবীন্দ্রনাথ সমকালীন সমাজজীবনের নানা ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন! আর দুর্ভাগ্য়জনক বিষয় হল, বর্তমান বঙ্গ জীবনের সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হল, শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি! আর এই দুর্নীতিকাণ্ডেই এবার আর্বিভাব হল এক 'হৈমন্তীর'!