বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি : শীতের (Winter) রেশ কাটিয়ে গরমের (Summer) ছেঁকা শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। একে একে পাহাড়-প্ল্যান (Hill Station) ছকা শুরু করে ফেলেছেন বাঙালিরা। যদি ভাবনা-পরিকল্পনায় দার্জিলিঙয়ের (Darjeeling) প্ল্যান সাজান, তাহলে রয়েছে জোড়া সুখবর। মঙ্গলবার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (New Jalpaiguri Station) থেকে যাত্রা শুরু করল ভিস্তাডোম (Vista Dome) কোচযুক্ত টয় ট্রেন। আর সঙ্গে সস্তা হল ভিস্তা-সফর। করোনা পরিস্থিতিতে (Corona Pandemic) লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে এবার টয় ট্রেনের হাত ধরে লক্ষ্মীলাভের আশায় পাহাড়ের পর্যটন (Tourism) ব্যবসায়ীরা।
ঝকঝকে নীল আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার সোনালি উঁকি। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে ছুটে চলেছে টয় ট্রেন। মাথার ওপর স্বচ্ছ ছাউনি, ডাইনে বাঁয়ে পাহাড়ি গাছেদের হারিয়ে যাওয়া। যেন হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় সব কিছু। অপেক্ষার অবসান করে মাস পয়লায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল ভিস্তাডোম কোচযুক্ত টয় ট্রেন। দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের (Darjeeling-Himalayan Railway) টয় ট্রেনে সমস্ত কোচকেই ভিস্তাডোম (Vistadome) করা হচ্ছে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। এদিন যাত্রীদের নিয়ে কেক কেটে এদিন উদ্বোধন করেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম। মিষ্টিমুখও করানো হয়।
পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হল নতুন ভাড়া। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ১ হাজার ৭২০ টাকা। ২০০ টাকা কমিয়ে তা করা হল ১ হাজার ৫২০ টাকা। ভিস্তা ডোম কোচ এমনিতেই পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। কোচগুলি থেকে পর্যটকরা খোলা আকাশ, পাহাড়, সবুজ বনভূমির ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে পাওয়া যায়। নর্দার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্রকুমার চৌধুরী জানান, 'সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রচুর পর্যটক এসেছে এবং অনেক যাত্রীর অনুরোধ ছিল শীতকালে ঠান্ডার আমেজে টয় ট্রেন যাত্রা আনন্দের হলেও গ্রীষ্মকালে কর্শিয়াং পর্যন্ত যাত্রায় অনেকটাই গরম থাকে তাই যাত্রীদের অনুরোধকে মাথায় রেখে ১লা মার্চ অর্থাৎ গ্রীষ্মের শুরুর দিন থেকেই চালু করা হল।'
আরও পড়ুন- ভিস্তাডোমে উঠে মুগ্ধ যাত্রীরা, কোচের কী বিশেষত্ব?