মোহন প্রসাদ, উমেশ তামাং ও আবীর দত্ত, দার্জিলিং: সোমবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ছাতা মাথাতেই রাস্তায় নেমেছেন পর্যটকরা। কালিম্পং ও পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যে নেমেছে ধস!
কেউ ভেবেছিলেন ব্রেকফাস্ট সারবেন গ্লেনারিজে, কারও প্ল্যান ছিল সকাল হলেই সেজেগুজে বেরিয়ে পড়বেন টাইগার হিল কিংবা রক গার্ডেন্সের উদ্দেশে। কিন্তু, সব মাটি! সোমবার রাত থেকে অঝোরে বৃষ্টি দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং-এ! পাহাড়ে বসেই অনেকে আবার পাহাড় দেখছেন অনলাইনে।
কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক জানিয়েছেন, যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে দার্জিলিং-এ থেকে অনলাইন ট্যুর করছি।
বাংলা ও উত্তর ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বিহারের দিকে সরে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গবাসী বৃষ্টির হাত থেকে কিছুটা রেহাই পেলেও, দুর্যোগ ঘণীভূত উত্তরে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছাতা মাথাতেই থাকতে হবে পাহাড়কে, এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। হাওড়া থেকে আসা এক পর্যটক জানাচ্ছেন, টাইগার হিল যাওয়ার কথা ছিল হল না, বৃষ্টির জন্য সব ক্যানসেল হয়ে গেল।
অসম থেকে আসা আরও এক পর্যটক জানাচ্ছেন, যতটা আশা ছিল, পুজোর মরশুমে তার চেয়েও বেশি ভিড় হয়েছে এবার পাহাড়ে। কিন্তু বাধ সাধল বৃষ্টি। এদিকে আশঙ্কা বাড়িয়ে কালিম্পং-এর একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই নেমেছে ধস! প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে গোকে থেকে সিঙ্গল বাজার সড়কে নেমেছে ধস। রিম্বিকের একটি লোহার সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রবল বৃষ্টিতে। ব্যাহত হয়েছে সুখিয়াপোখরি থেকে মানেভঞ্জন পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন সান্দাকফু ও মানেভঞ্জনে।
তবে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রোহিণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। একদিকে প্রবল বৃষ্টি, অন্যদিকে নিকাশির সমস্যা। জল জমেছে কার্শিয়ং-এর রাস্তায়। তিস্তার জলস্তর বাড়ায় কালিম্পং-এ প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকে প্রচার।
আরও পড়ুন: North Bengal Rain: দার্জিলিং-কার্শিয়ঙে পরপর ধস, তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি