সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটেও কি এবার শিলিগুড়ি মডেল (Siliguri Model) ? বামেদের উদ্দেশে জোট বার্তা দিল কংগ্রেস (Congress)। বামেরাও বুঝিয়ে দিয়েছে, যে দল যেখানে শক্তিশালী, সেখানে সেই লড়াই করবে। দুই দলের এই সক্রিয়তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।
দার্জিলিং (সমতল) জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে গেলে শিলিগুড়ি মডেল চালু করতে হবে এবং শিলিগুড়ি মডেল একমাত্র বিকল্প পথ।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে কি ফিরছে শিলিগুড়ি মডেল ? বামেদের জোট বার্তা দিয়ে, কংগ্রেসের অন্দরে উঠল এমনই দাবি। ১০ আসন বিশিষ্ট শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট ২৬ জুন। ৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। সাতটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। ৭ আসনে মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে। ৭ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে প্রার্থী প্রত্যাহার নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে তৎপরতা।
শঙ্কর মালাকার বলেন, সিপিএমও এককভাবে তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে পারবে না। কংগ্রেসও এককভাবে তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে পারবে না। চেষ্টা চালাচ্ছি, আরও কয়েকটি সিপিএম ছেড়ে দিলে মানুষের কাছে বার্তা ভাল যাবে।
এদিকে দার্জিলিং বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার বলেন, আসনভিত্তিক সমঝোতা হয়েছে। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে হয়েছে। আমাদের মধ্যে বিনিময় চলতে থাকবে কংগ্রেসের সঙ্গে। অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে বাম-কংগ্রেসের তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল-বিজেপি। দার্জিলিং (সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, প্রত্যেক ভোটে তৃণমূল অলিখিত জোটের বিরুদ্ধে লড়েছে। প্রত্যেক ভোটে আমাদের ভোট বেড়েছে। অনৈতিক জোট নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।
শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, ২০২১-এর ভোটে বাম-কংগ্রেসকে উৎখাত করে দিয়েছে। ওদের নিয়ে চিন্তা করছি না। মানুষ বিজেপির সঙ্গে থাকবে।
ফেব্রুয়ারিতে শিলিগুড়ি পুরভোটে কয়েকটি ওয়ার্ডে বাম-কংগ্রেসের বোঝাপড়া হলেও, কোনও দলই ছাপ ফেলতে পারেনি। অথচ, ১৯৯০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ছিল বামেদের দখলে। কংগ্রেসের জোট বার্তার পর, বামেরাও বুঝিয়ে দিয়েছে আলোচনার পথ খোলা।