অমিত জানা, কমলকৃষ্ণ দে, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান: মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের (west Midnapore) বেলদা থানার রাম সরিষা ও পাইখোলা গ্রামে ভোর রাত থেকে বেলদা (Belda) আবগারি দফতর ও বেলদা থানার যৌথ তল্লাশি অভিযান। ২০০০ লিটারেরও বেশি চোলাই মদের সরঞ্জাম নষ্ট করল।
বর্ধমান ডিসকাণ্ডে মৃত্যুর পর আজ ভোর রাত থেকে পুলিশ ও আবগানি দফতর বেআইনি ভাবে মদ তৈরির ঠেকে অভিযান চালিয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদা থানা দুটি গ্রামে আজ সকালে আবগারি দফতর ও পুলিশ গিয়ে বেআইনি মদের ঠেক ভাঙচুর করে মদ তৈরির সরঞ্জাম নষ্ট করে। গোপন সূত্রে আবগারি দফতর খবর পায় বেআইনিভাবে চোলাই মদ বেশ কয়েকটি গ্রামে তৈরি করা হচ্ছে। সেই খবর পাওয়ার পর আর সকালে রাম সরিষা ও পাইখোলা গ্রামে আফগারি দফতর ও পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে মাটির নিচ থেকে লুকিয়ে রাখা জলের ড্রাম সারিবদ্ধভাবে মাটির তলায় রাখা রয়েছে। মাটি খুঁড়ে ড্রাম খুলতেই দেখা যায় চোলাই মদ তৈরি করার সরঞ্জাম তখন সেগুলো নষ্ট করা হয়।
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে ফার্মেন্টেড ওয়াস ২০০০ হাজার লিটার ও চোলাই মদ ১২০ লিটার নষ্ট করা হয়েছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছনোর আগেই ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অবৈধ মদ তৈরির কারবারিরা। যদিও আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই তল্লাশি অভিযান সারাদিন ধরেই চলবে।
বিষমদের বলি
১৪ ডিসেম্বর, ২০১১ - দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক জন দৃষ্টিশক্তি হারান ও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর- ঘটনাস্থল ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। বেলেচণ্ডীতে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের৷