সোনারপুর: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃ্ত্যুর অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা (Medical Negligence Death) ছড়াল সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃতের আত্মীয়দের (Agitation) মারমুখী মেজাজে হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভ নস্কর। বয়স ১৯ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, বিষধর সাপ কামড়েছে সন্দেহে ১৯ বছরের তরুণকে গত কাল অর্থাৎ শনিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ,পর্যবেক্ষণে না রেখে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তরুণকে ছেড়ে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ফেরার কিছু ক্ষণের মধ্যে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণ। দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে রোগীকে ভর্তি না করায় পাল্টা পরিবারের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


আগেও এক ঘটনা...
রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। গত বছর ডিসেম্বরে যেমন এসএসকেএম-এ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়। চিকিৎসকদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। বস্তুত চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে আগেও একাধিকবার উত্তাল হয়েছে এই হাসপাতাল  চত্বর। এর আগে যেমন, এসএসকেএম-এ সদ্যোজাত ও প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নার্সিংহোম থেকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তপসিয়ার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বাকে। সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়েঠিল। মৃতের আত্মীয়রা ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পড়েন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতের পরিবারের দাবি, ভর্তি নিতেই টালবাহানা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসায় গাফিলতিতে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। লালবাজার থেকে আনা হয় বাহিনী। অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দিতে বলায় রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি ওঠে সরকারি হাসপাতালের নার্সের বিরুদ্ধে। ডিসেম্বরেই ওই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয় র‍্যাফ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সে দিন যে ভাবে রোগীর আত্মীয়রা  বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তা সামলাতে হিমসিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পরিবার সূত্রে খবর, মায়ের ওপর অভিমান করে অ্যাসিড খেয়ে ফেলেছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও দীর্ঘক্ষণ তাকে দেখেননি কোনও চিকিৎসক। রাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বদলে দেওয়ার অনুরোধেও কর্ণপাত করা হয়নি। উল্টে কর্তব্যরত নার্স ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে দাবি।


আরও পড়ুন:এবার গাজিয়াবাদ, রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের !