সৌভিক মজুমদার, সন্দীপ সরকার ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে আটটা মানুষের মৃত্য়ুতে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বিস্ময়প্রকাশ করে তিনি বলেন, হে ভগবান, এত ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! পাশাপাশি তিনি এও বললেন, বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে।


হে ভগবান....এত ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবিতে শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের মামলায়, বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণকাণ্ডের ছবি দেখে এভাবেই বিস্ময় প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৮ জনের দেহ। 


কিন্তু এত বীভৎস বিস্ফোরণের পরও, মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ।


কী কারণে এমনটা করল পুলিশ? সরাসরি এনআইএ এড়াতেই কি এই কৌশল? বুধবারই এই প্রশ্ন তোলে এবিপি আনন্দ। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। CID খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মতো তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কিনা। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে, নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার NIA-র হাতে থাকবে।


তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আপনি NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে যেতেই পারেন। আপনার অধিকার। কিন্তু, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করবেন না। যেখানে একটা করে মৃত্যু হচ্ছে সেখানে গিয়ে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। ওদের কোনও উপায় নেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া।'                                                                                  


এগরার বিস্ফোরণের ঘটনায়, ১২ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিআইডি নিজে থেকে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু ক রে কি না, সেদিকেই সবার নজর।                              


 


আরও পড়ুন, রোজ খাবার প্যাক করছেন অ্যালমিনিয়াম ফয়েলে ? কতটা ক্ষতি জানেন?