হিন্দোল দে ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পরিত্যক্ত বাড়ির(house collapse) একাংশ ভেঙে মৃত্যু হল পথচারীর (pedestrian)। মধ্য কলকাতার তালতলা থানা (taltala) এলাকার ঘটনা। রবিবার বেলার দিকে হঠাতই ভেঙে পড়ে আঘা মেহদি স্ট্রিটের একটি বাড়ি। প্রাণ যায় জানে আলম নামে এক ব্যক্তির।
পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ির জেরে আগেও বিপদ দেখেছে এ শহর। মে মাসের গোড়াতেই রবীন্দ্র সরণিতে পুরনো বাড়ির চাঙর ভেঙে পড়ে। সে বারও বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। কিন্তু তার পরও সতর্কতা বেড়েছে প্রশাসনের? 


কী ভাবে মৃত্যু:
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ ১৫ নম্বর আঘা মেহদি স্ট্রিটের ধার দিয়ে যাচ্ছিলেন জানে আলম। ঠিক তখনই বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। নির্দিষ্ট ভাবে বললে, বাড়িটির পাঁচিলের ভেঙে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়েন ৫২ বছরের প্রৌঢ়। কোনও মতে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে জানে আলমকে। 
তড়িঘড়ি পুরসভার কাছে খবর যায়। বাড়ির অবস্থা দেখতে ছুটে আসেন পুরকর্মীরা। প্রথমে সেটির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। পরে পুরো বাড়িই ভেঙে দেয় পুরসভা। যদিও তাতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ সামলানো যায়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর পর রীতিমতো তেতে ওঠে পরিস্থিতি। 
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, টালির চাল দেওয়া বাড়িটির অবস্থা এমনিতেই ভালো ছিল না। কেউ থাকতেনও না তাতে। তার উপর ঘটনার ঠিক আগে বৃষ্টি হওয়ায় আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। 


কেন প্রশ্ন:
এলাকায় যে এরকম একটি বাড়ি রয়েছে সে ব্যাপারে কি কোনও তথ্যই পুরসভার কাছে ছিল না? থাকলে আগে থেকে সেটি নিয়ে কেন কোনও বন্দোবস্ত করেনি তারা? প্রৌঢ়ের মর্মান্তিক মৃত্য়ুর পর প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত এই ধরনের ঘটনা যখন শহরে বিরল নয়, তখন কি আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল না? খেদ নানা মহলে।


আরও পড়ুন:গৃহকর্তা-সহ পড়শিদের লালসার শিকার! গণধর্ষণের অভিযোগ পরিচারিকার, দুই নাবালক-সহ গ্রেফতার ৪