অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। রাজ্য়ে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আবার ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কায় কলকাতা পুরসভার কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। নতুন করে ডেঙ্গির প্রকোপ ঠেকাতে শহরে যাতে জল না জমে তা নিয়ে তৎপর কলকাতা পুরসভা। সেই সঙ্গে ডেঙ্গি সচেতনতায় চলবে প্রচারও।
কী পরিস্থিতি?
উদ্বেগজনক রাজ্য়ের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য়ে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৫৮৫। বেসরকারি মতে, এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ু হয়েছে ৭১ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের।
কলকাতায়ও ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, কলকাতায় নিয়ন্ত্রণে ডেঙ্গি। এই আবহে শীতের মুখে রাজ্য়ে ফের ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। শুক্রবার সকালেই নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'-তে। তার ফলে, ফের বৃষ্টি হলে শহরে ওয়াটার পকেট তৈরি হতে পারে। আর তাতে আবার বাড়তে পারে ডেঙ্গির প্রকোপ। আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুর কর্তাদের। কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মতে, 'বৃষ্টি আমাদের মাথাব্য়থার কারণ। বৃষ্টি হলে জল জমতে পারে। জল জমলে শহরে ওয়াটার পকেট তৈরি হবে। তাতে ডঙ্গির প্রকোপ আবার বাড়তে পারে।' এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি হলে জল জমা ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। একইসঙ্গে ডেঙ্গি সচেতনতায় চলবে প্রচারও। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শহরে গাছ ভেঙে পড়লে যাতে দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করা যায় তার জন্য় উদ্য়ান বিভাগের টিমকে সতর্ক রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি খোলা রয়েছে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুম। কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে পুরসভা।
আবহাওয়ার পরিস্থিতি...
এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মিধিলি'-র প্রভাব পড়ার কথা ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে। সেখানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে। অসম এবং মেঘালয়ের পূর্বাংশে শুক্রবার ও শনিবার, একই ছবি দেখা যেতে পারে। আবহাওয়ার যা মতিগতি, তাতে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকার কথা। তাই মৎস্যজীবীদের শনিবার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যা পূর্বাভাস, তাতে বিভিন্ন গাণিতিক মডেল অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি উত্তর এবং উত্তর-পূর্বদিকে বাংলাদেশের উপকূল অভিমুখে সরার কথা।