নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জামিনের আবেদনের উপর শুনানি স্থগিত। প্রায় ৪ মাসের জন্য পিছিয়ে গেল জামিনের আবেদনের উপর শুনানি। আগামী ২৭ জুলাই এ নিয়ে হবে শুনানি।
প্রসঙ্গত, তিহাড় (Tihar) থেকে আসানসোল জেলে (Asansol Jail) ফিরে যেতে আবেদন করেছিলেন বীরভূমের (Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গত শনিবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত। অনুব্রত মণ্ডলের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চাইলে আসানসোল জেলেই হতে পারে, আবেদনপত্রে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। পাশাপাশি বলা হয়, আসানসোলের সিবিআই কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের একটি মামলা চলছে। আগামী ৩১ মার্চ সেই মামলার শুনানি। সেই কারণেই তাঁকে সেখানে ফেরানো হোক, আবেদনে জানান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর দোলপূর্ণিমার দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলে যান বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিকে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। যদিও কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হলেও সেই তলব এড়িয়েছেন তিনি। ফলে এখনও পর্যন্ত অনুব্রত ও তাঁর মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পায়নি ইডি।
ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সোমবার, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তিহাড় জেলে পাঠিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি। রয়েছেন গরু ব্যবসায়ী এনামুল হক ও বিএসএফের প্রাক্তন কমাডান্ট সতীশ কুমার। গরুপাচার মামলাতেই এনামুল ও সতীশ কুমার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। সিবিআই মামলায় তাঁরা জামিন পেলেও, ইডি-র মামলায় ২ জনে তিহাড় জেলে বন্দি। এমন পরিস্থিতিতেই বীরভূমে উঠে এল ঘাসফুল শিবিরের ছন্নছাড়া ছবি।
আরও পড়ুন, 'আজকে ট্রেলর দেখালাম, ভবিষ্যতে দিল্লিতে..', কী নিয়ে হুঁশিয়ারি অভিষেকের ?
অনুব্রতহীন বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে স্পষ্টতই ফাটল ধরেছে। বেসুরো হয়েছেন শাসকদলের একাধিক নেতা। নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজির বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দলীয় নেতৃত্বেরই সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই ভিডিও-য় বিধানচন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, 'হয়ত বিগত দিনে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সংগঠন বা ক্ষনতাকে কুক্ষিগত করে রেখে দিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে বিকেন্দ্রীকরণ করেননি ক্ষমতা। আমরা চাই, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ, যাঁরা তৃণমূলকে ভালবাসেন, তাঁরা এগিয়ে আসুন।' নাম না করে কি আসলে অনুব্রতকেই নিশানা করেছেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক? ভাইরাল বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।