ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আরও ভয়াবহ ডেঙ্গি, একদিনে রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যু ((Dengue Death In West Bengal)। এঁদের মধ্যে ২ জন আক্রান্ত বেলেঘাটা আইডি (Beliaghata ID Hospital) হাসপাতালে মারা যান, তৃতীয় জনের মৃত্যু হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে(Saltlake AMRI Hosptial)। মৃতদের একজন ভাঙড়ের বাসিন্দা। নাম ফতেমা বিবি, বয়স ৫৬ বছর। দ্বিতীয় জনও ভাঙড়েই থাকতেন। নাম সঞ্জয় রায়। তাঁর বয়স ৩৪ বছর। মৃত তৃতীয় জন ডেঙ্গি আক্রান্তের নাম সুস্মিতা বিশ্বাস। ৩৭ বছরের যুবতী আদতে বনগাঁর বাসিন্দা। ২৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পরে মারা যান তিনি।


কী জানা গেল?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা নাগাদ ফতেমা বিবির মৃত্যু হয়। গত কাল, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথমে আইসিসিইউ, পরে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।  আজ বেলা ১১টা নাগাদ আবার ৩৪ বছরের এক যুবক সঞ্জয় রায়েরও মৃত্যু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তিনিও ভাঙড়ের বাসিন্দা। প্রায় একই সঙ্গে, সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সুস্মিতা বিশ্বাস নামে বনগাঁর বাসিন্দা এক যুবতী। সব মিলিয়ে রাজ্যে এক দিন ৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। এমনিতে, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি। দিনদুয়েক আগে যেমন কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১০ বছরের বালিকার মৃত্যু হয়। তিথি হালদার নামে ওই বালিকাকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।  বালিগঞ্জের সেই বেসরকারি হাসপাতালেই মারা যায় ছোট তিথি। তবে এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে, তাতে রাজ্যে ডেঙ্গি-পরিসংখ্যানের নিরিখে সবথেকে খারাপ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার।


উত্তর ২৪ পরগনার ছবি...
দিন দুয়েক আগে পর্যন্ত যা জানা গিয়েছিল, তাতে দেখা যায় টানা বৃষ্টির ফলে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। গত ২৮-এ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য় দফতরের দেওয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ৯ হাজার ৯৬৫। তার মধ্য়ে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্য়া ৬ হাজার ৫২৩ এবং গ্রামাঞ্চলে ৩ হাজার ৪৪২। শহরাঞ্চলের মধ্য়ে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা বিধাননগর পুর এলাকায়। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ২৯৮। এছাড়া দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতির অবস্থা অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক। গ্রামাঞ্চলের মধ্য়ে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবরা ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা, গাইঘাটায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এসবের মধ্যে এক দিনে ৩ মৃত্যুর খবরে আতঙ্ক বাড়ছে। 


আরও পড়ুন:অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-সেরাম ইন্সটিটিউটের ম্যালেরিয়ার টিকাকে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা