সন্দীপ সরকার, কলকাতা: উৎসব মরশুম শেষ হতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি।স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৩২ জন।শুধুমাত্র অক্টোবরে অর্থাৎ উৎসবের মরশুমে, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩২০০. সব মিলিয়ে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৫০৩ জন। যা ঘিরে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকমহলে। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, দত্তাবাদকাণ্ডে BDO-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে পোস্ট সুকান্তর, 'মমতার নৈরাজ্যে শাসনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে..'

Continues below advertisement

উৎসবের মরশুম শেষ হয়েছে! হেমন্তের হিমেল হাওয়া বইছে। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নামছে। কিন্তু, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি-আতঙ্ক এখনও রয়েছে সেই আগের মতোই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অক্টোবরের শেষ দু'সপ্তাহে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৩২ জন। ১৬ অক্টোবর  রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১০ হাজার ৮৭১। ৩০ অক্টোবর সেটাই বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৫০৩।আর গোটা অক্টোবর মাসজুড়ে ডেঙ্গিতে মোট আক্রান্তে সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ২০০-তে। উৎসবের মরশুমে একমাসে ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগ ধরাচ্ছে চিকিৎসক থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ মাইক্রো বায়োলজিস্ট  সৌগত ঘোষ বলেন, পরপর পুজো গেল। উৎসবের মাসে ডেঙ্গি বাড়ার কারণ আধখোলা প্য়ান্ডেল। প্য়ান্ডেলে জল জমে  মশাদের পোয়াবারো। এরপর যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে নিয়ন্ত্রণে আসবে পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, কলকাতা, মালদা ও হাওড়াতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এই ছয় জেলাতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ৭০০। 

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।  এই জেলায় মোট আক্রান্ত বেড়ে ২ হাজার ৩২৬। দ্বিতীয় স্থানে মুর্শিদাবাদ, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২ হাজার ৩০৪। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা হুগলি  ও কলকাতা।  দু জায়গাতেই আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পেরিয়েছে। মালদায় আক্রান্তের সংখ্য়া হাজার ছুঁইছুঁই। হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ছাড়িয়ে সাড়ে সাতশো পার। চিকিৎসক  শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, এই বৃষ্টিটা হল, তারই ফল এখন আমরা পাচ্ছি। ডেঙ্গি আক্রান্তের লক্ষ্মণ ও কী করা উচিত সেটা নিয়ে বলেছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্য়েই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গি-সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের মোকাবিলায় বিশেষ তৎপর। এই খাতে বার্ষিক ৭৫০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে ১ লক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৪০০-র বেশি সেন্টারে বিনামূল্য়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ৮৯টি ব্লাডব্য়াঙ্কে মজুত রয়েছে প্লেটলেট। চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি!