কলকাতা : আলোর উত্সবেও ডেঙ্গি-উদ্বেগ (Dengue fear)। একসঙ্গে দাপট ডেঙ্গির দুই সেরোটাইপের (Serotype)। ডেঙ্গ ২, ডেঙ্গ ৩ দুই সেরোটাইপের জোড়া হানা। স্বাস্থ্যভবনের পাঠানো ৪০০ নমুনার মধ্যে ৩৭%-এ মিলেছে ডেঙ্গ ৩। পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে ২৭%-এ ডেঙ্গ ২-র হদিশ, এমনই উল্লেখ রয়েছে নাইসেডের রিপোর্টে। ‘২ শতাংশ নমুনায় একসঙ্গে ডেঙ্গ ২ ও ডেঙ্গ ৩-এর হদিশ’। চলতি বছরে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৪০ হাজার পার, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের।
বছরের শেষেও ডেঙ্গির দাপট কমছে না-
আবহাওয়ার (Weather) খামখেয়ালিপনা, সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়ন। এই কারণে বছরের শেষেও ডেঙ্গির দাপট কমছে না। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই সঙ্গে তাঁদের পরামর্শ, জ্বর হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অক্টোবরের শেষ। বর্ষার বিদায় এবং শীত আসার সময়। কিন্তু, কমার বদলে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ ! যা দেখে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পাশাপাশি, অপরিকল্পিত নগরায়নকেও দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গ, রাজ্য জুড়েই অবনতি হচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতির। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সাপ্তাহিক আক্রান্ত ও সংক্রমণ বৃদ্ধির নিরিখে সব থেকে খারাপ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার। সেখানে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬২৭ জন। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৩ জন। তৃতীয় স্থানে হুগলি। সেখানে একসপ্তাহে আক্রান্ত ৬৭৬। কলকাতায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৬ জন।
পুর এলাকার নিরিখে আবার কলকাতার পরই রয়েছে ব্যারাকপুর পুরসভা। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৮। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া পুরসভা। যেখানে এক সপ্তাহে ২৭৫জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের (Experts) পরামর্শ, জ্বর (Fever), গায়ে র্যাশ, মাথা ব্যথা (Head Ache), চোখের চারপাশে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নাইসেড সূত্রে খবর (According to NICED), এবার ডেং থ্রি প্রজাতির প্রকোপ বেশি। সেই কারণেই উপসর্গ ও শারীরিক অবনতির গতিপ্রকৃতি নিশ্চিতভাবে বুঝে উঠতে সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন ; ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু শহরে, পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ পূর্ব পুটিয়ারিতে