কলকাতা: ডেঙ্গি পরিসংখ্যানের ভয়াবহ ছবি বাংলায়। দেশে সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গে। ১ নভেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের ১৬ জেলায় আক্রান্ত ৭৩ হাজার ৩১৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে এক নম্বরে উত্তর ২৪ পরগনা। ১ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৭৪। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা, আক্রান্ত ১১ হাজার ৯৮৫ জন। তৃতীয় স্থানে মুর্শিদাবাদ, আক্রান্তর সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৬।
গত পাঁচ বছরের তুলনায় রাজ্যে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি সংক্রমণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্তই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার। এরই মধ্যে হাওড়ায় মৃত্যু হল এক ডেঙ্গি আক্রান্তের। রাজ্য় থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু, এখনও উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি। লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুধু মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর ১১ দিনে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ । সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবছর ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭৬ হাজার ছুঁইছুঁই। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ! এর মধ্যে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৫৩।
ইতিমধ্যেই একাধিক শিল্পী আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রুবেল দাস, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতাসহ অনেকেই। কিছুদিন আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক সৃজিতও। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি লেখক সৃজিতও।
গত ৫ বছরের তুলনায় রাজ্যে এবারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০২২ সালে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। ২০২১ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ৮হাজার ২৬৪ মানুষ। ২০২০-তে সংখ্যাটা ছিল ৫হাজার ১৬৬। তবে ২০১৯ ও ২০১৮ সালে রাজ্যের তরফে আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার শহরাঞ্চলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৩২ জন। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ৪হাজার ৬২১। বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ হাজার ৪০১ ও ১ হাজার ৫৮৩।