সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : চলতি বছরে শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি ডেঙ্গির সংক্রমণ (Dengue Scare) ! স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেই উঠে এসেছে পরিসংখ্যানের নতুন ট্রেন্ড। চিকিৎসকদের (Doctors) মতে, গ্রামের চরিত্র বদলে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে এই ছবি। এদিকে, মেয়রের দাবি, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন স্বাস্থ্যসচিব।
রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ল। টপকে গেল ৫০ হাজারের গণ্ডি। স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার। রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas)। সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা, আক্রান্ত প্রায় ৮ হাজার। এবং তৃতীয় স্থানে মুর্শিদাবাদ। সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুয়াযী দেখা যাচ্ছে, শহরের তুলনায় গ্রামে এবার ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি। চলতি সপ্তাহে গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে প্রায় ৩১ হাজার, সেখানে শহরাঞ্চলে ২০ হাজারের কাছাকাছি। গত তিন সপ্তাহে মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশ গ্রামের বাসিন্দা, ৩৬ শতাংশ শহর এলাকার বাসিন্দা। যে প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুমন পোদ্দার বলেছেন, রুরাল এরিয়া তো রুরাল নেই, সেমি আরবান হয়ে গেছে। তাই এটা হচ্ছে। আর্বান এরিয়ার যা জনসংস্যা মোট হিসেব বিচারে ৩৫ শতাংশ রুরালের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ বিচার করলে রেসিও একই হবে।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) হিসেব, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শহরে ১ হাজার ৩৬৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেও মেয়রের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সম্পূর্ণ। গ্রাফ ওপরে উঠছে না। এই পরিস্থিতিতে, এদিন রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। রোগী পরিষেবা দ্রুত করা। এবং সমস্ত তথ্য অনলাইনে নথিভুক্ত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন