কৌশিক গাঁতাইত, রানিগঞ্জ: দুর্ঘটনা (accident) নাকি আত্মহত্যা (suicide)? স্পষ্ট নয়। তবে অগ্নিকাণ্ডে (fire) দীর্ঘদিনের পড়শির মর্মান্তিক মৃত্য়ু মেনে নিতে পারছেন না রানিগঞ্জের (ranigunj) সিয়ারসোল রাজবাড়ি মোড় লাগোয়া পণ্ডিতপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। ঘুরেফিরে উঁকি দিচ্ছে প্রশ্ন, তবে কি...?


কী ভাবে মৃত্যু?


প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের নাম সীতা দুধারিয়া। পড়শিদের অনেকের ধারণা, গত বেশ কিছুটা সময় ধরে মানসিক অবসাদে (depression) ভুগছিলেন ৭৫ বছরের সীতা। যদিও এ নিয়ে বৃদ্ধার ছেলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রানিগঞ্জের ৩৪ নম্বর পণ্ডিতপুকুর এলাকার বাড়িতে ছেলের সঙ্গেই থাকতেন সীতা। 
কী হয়েছিল এদিন? পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় বৃদ্ধার ছেলে বাড়ি ছিলেন না। সম্ভবত কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ বাড়িতে একা ছিলেন সীতা। পড়শিদের ধারণা, সেই সুযোগেই বাড়ির একাধিক জিনিসপত্র, আসবাবে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। তার পর এক কোণায় বসে পড়েন। বাড়ি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখে টনক নড়ে পাড়াপ্রতিবেশিদের। একটু পরে নজরে আসে আগুনের শিখাও। দ্রুত পুলিশ ও দমকলে খবর দেন এলাকার মানুষ।
তবে তাদের অপেক্ষা না করে প্রতিবেশিরাই আগে পৌঁছে যান। বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি বলে জানাচ্ছেন পাড়াপড়শিরা। 


রক্ষার চেষ্টা প্রতিবেশিদের


এর পরই শুরু বাড়ির দরজায় ধাক্কাধাক্কি। কিন্তু সেটি লোহার তৈরি। ফলে ভাঙতে পারেননি প্রতিবেশিরা। অবশেষে দমকল ও পুলিশ এসে হাতুড়ি দিয়ে দরজা ভাঙে। প্রথমে ধোঁয়া ও পরে আগুনের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় সীতা দুধারিয়াকে। পুলিশের দাবি, তখন তিনি জীবিত ছিলেন। তবে জ্ঞান ছিল না। সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বৃদ্ধাকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। কোথা থেকে আগুন লাগল তার উৎস সন্ধান করা হচ্ছে। পড়শিদের দাবি সত্যি হলে বৃদ্ধার এই সিদ্ধান্তের কারণ কী, সেটা জানা দরকার। মনে করছেন স্থানীয়রা। 


আরও পড়ুন:দরদরিয়ে ঘাম ! দলীয় কর্মসুচীতে এসে আচমকাই অসুস্থ বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র