কলকাতা: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পেরে না উঠেই বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি (Financial Terror)', দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের (TMC MP Derek O Brien On Loan Waiver)। তাঁর প্রশ্ন, 'কেন্দ্র সরকার ১২ লক্ষ কোটির ব্যাঙ্ক লোন মকুব করলে রাজ্যের ৬ হাজার ৯০০ কোটি মকুব করছে না কেন? কেন রাজ্যের মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে?'


ডেরেকের দাবি...
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতার আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে বৈঠক করেছিলেন, তাতে 'ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট' নিয়ে কোনও  কথাই হয়নি। যদিও তৃণমূল সরকারের কাছে বিপুল তথ্য তৈরি রয়েছে। এর পরই আক্রমণাত্মক ডেরেক ও ব্রায়েনের বক্তব্য, 'বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরেই অর্থনৈতিক সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।' ব্যাঙ্কের ঋণ মকুব করা হলে বাংলার মানুষ কেন ভুগবেন? স্পষ্ট প্রশ্ন তাঁর। তবে এতেই শেষ নয়। এদিন তৃণণূল কংগ্রেস আরও আক্রমণ শানিয়ে জানতে চায়, '২০০২-০৩ থেকে কেন্দ্রের টাকা খরচের খতিয়ান ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাম আমলের দায় তৃণমূল সরকার নেবে কেন?' তাদের বক্তব্য, ২০১১ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের নির্দিষ্ট দফতরে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়ে এসেছে। কিন্তু ক্যাগ যে ভাবে রিপোর্ট পেশ করছে, তাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা মিথ্যাচার করছে। 

প্রতিক্রিয়া...
রাজ্য বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস এই জাতীয় বিচ্যুতি লাগাতার করে এসেছে। আর যে কারণে আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে, সেই পুরো বিষয়টি ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। শুধু বাম আমলের কথা বলে পাশ কাটালে চলবে না। বাম আমলের পরেও তৃণমূলের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা, কেন্দ্রের সাহায্য সব রসাতলে গিয়েছে।' এর আগে, রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষের প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করেছে।' যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ধর্নামঞ্চ থেকে অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্য়াগের রিপোর্ট মিথ্য়ে। তাঁর আরও দাবি, সময়মতো সমস্ত তথ্য় দেওয়া হয়েছে। একদিকে যখন এই নিয়ে আজ তরজা তুঙ্গে, তখন বকেয়া-বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে ধর্না-অবস্থান জারি রেখেছে তৃণমূল। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হন রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। বাংলার মানুষ বঞ্চিত, বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, আক্রমণ শানান সায়নী ঘোষ।


আরও পড়ুন:মমতার ধর্নামঞ্চে অনুপস্থিত অভিষেক, জল্পনা বাড়াল বোন অদিতির পোস্ট