কলকাতা: গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারার মাশুল দিতে হল দলকে। শনিবার যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে ২-২ ড্রয়ের পরও তাই আক্ষেপের সুর শোনা গেল ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের গলায়।



শনিবার রাতে ম্যাচের পর কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা আজ গোল করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। এডুইনের যে শটটা গোলের বাইরে চলে গেল, ওটা খুব ভাল একটা সুযোগ ছিল। নন্দকুমারও ভাল সুযোগ পেয়েছে। আরও দু-তিনটে সুযোগ পেয়েছি আমরা। আমাদের এই ম্যাচটা একশো শতাংশ জেতা উচিত ছিল”।

এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল এবং তৃতীয় মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন প্রথম ডার্বি খেলা অজয় ছেত্রী। দলের এই আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা শুরু থেকেই তিন পয়েন্টের জন্য খেলেছি। শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছি আমরা। অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। আমাদের কৌশল একদম ঠিক ছিল। যে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম আমরা, তাতে আমাদের অবশ্যই তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল”।

অজয় ছেত্রীকে শুরু থেকে খেলানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেন, “কোচ হিসেবে দলের সব খেলোয়াড়কেই সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি আমি। সে জন্য সঠিক সময় বাছাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের শিবিরে এমন একাধিক খেলোয়াড় আছে, যারা বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় না। কিন্তু অনুশীলনে নিয়মিত খুব ভাল করে। ওরা খেলাটা ভাল বোঝে। আমি ঠিক কী চাই তা ওরা বোঝে। তাই দলের ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত”।

সল ক্রেসপোর জায়গায় বাংলার সায়ন ব্যানার্জিকেও নামান কুয়াদ্রাত। কিন্তু মিনিট চল্লিশ পর তাঁকে তুলেও নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কুয়াদ্রাত বলেন, “সায়ন খুব ভাল খেলছিল। কিন্তু আমার ওই সময়ে একজন তরতাজা খেলোয়াড় দরকার ছিল মাঠে। তাই বিষ্ণুকে নামাই। কারণ, তখন সিস্টেমে বদল আনতে চাইছিলাম আমি। ৫-৪-১-এ খেলতে চাইছিলাম। সেটা সবাইকে জানানোর জন্যই বিষ্ণুকে পাঠাই। কারণ, সায়নকে দিয়ে এই কাজটা করা যেত না”।

এ দিন ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় নাওরেম মহেশ সিংয়ের চোট লাগে, যার ফলে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। তাঁর বদলে এডুইন ভন্সপল মাঠে নামেন। চোট কতটা গুরুতর জানতে চাইলে লাল-হলুদ শিবিরের স্প্যানিশ কোচ বলেন, “ম্যাচের পর আমি ওকে দেখিইনি। ওকে বোধহয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ওকে আর ড্রেসিং রুমে দেখতে পাইনি আমি”।                                                                                          তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া