ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভবানীপুর সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে (Bhowanipore Swimming Association) বিধ্বংসী আগুন (Fire Update)। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। রাত ১০টা নাগাদ আগুন লাগে, মুহূর্তের বিধ্বংসী চেহারা নেয়। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে: আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, বাঁশ এবং কাঠের কাঠামো ও তার উপরের টিনের শেড ভেঙে পড়ে। পুড়ে যায় ভবানীপুর সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পাশের গাছগুলিও। রাত ১০টা নাগাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে একতলার ঘরে আগুন লাগে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কীভাবে আগুন লাগল, তা জানার জন্য কাল ঘটনাস্থলে আসবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
কারখানা-গুদামঘর চলছে বেআইনিভাবে: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, শহরে এমন কারখানা রয়েছে সাড়ে ছশোর বেশি। কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। চলতি বছর ১২মার্চ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম। ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ওঠে। তারপরই ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার কারখানা-গোডাউনগুলোতে ফায়ার সেফটি অডিট করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৯মাস পর সেই অডিট রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম না মেনে, বিনা অনুমতিতে, বৈধ কাগজ ছাড়া শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার ৫৯৯টি কারখানা ও গোডাউনে কাজ চলছে। কলকাতা পুলিশের সমীক্ষায় সেই সংখ্যাটা সাড়ে ৬০০-র বেশি। তার মধ্যে ৪৯০টি কারখানায় যে কোনও সময় আগুন লাগার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেয়েই শুক্রবার বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি এবং দমকল বিভাগ।
আরও পড়ুন: Kolkata News: রাতের কলকাতায় ফের দুর্ঘটনা, লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু