কলকাতা: রানাঘাটের (Ranaghat) সভামঞ্চ থেকে আরও এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবারের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন তিনি। সেই মতো পদত্যাগ করলেও, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে ভুল তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। 


পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা: রানাঘাটের মঞ্চ থেকে অভিষেকের নির্দেশের পরই এদিন পঞ্চায়েত প্রধান ইস্তফা দিয়েছেন। সোমবারের বদলে আজই বিডিও-র কাছে পদত্য়াগপত্র পাঠালেন পঞ্চায়েত প্রধান। ইস্তফা দেওয়ার আগেই রানাঘাটের তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দে বলেন, “আমি মানুষের কাছে যাইনি এটা ঠিক নয়। যে সংসদের কথা বলা হয়েছে, সেখানে সব থেকে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। ওনার কাছে যাঁরা তথ্য পাঠিয়েছেন, তাঁরা সঠিক তথ্য পাঠাননি। ভুল তথ্য পাঠিয়েছেন। আমি দলের অনুগত সৈনিক। আমি সোমবার ইস্তফা দেব। গ্রামে নেই নেই করে দু-শো বার গেছি। তথ্য সঠিক যায়নি। কেউ কেউ বিকৃত তথ্য দিয়েছেন।’’


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে খোদ পঞ্চায়েত প্রধান ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এদিন নদিয়ায় মতুয়া গড়ে জনসভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রানাঘাটের মিলন মন্দির মাঠে সভার আয়োজন করা হয়। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের ডাকে এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক। এদিন সভামঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজও করেন তিনি। কিন্তু, অভিষেকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল পরিচালিত তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দে।


পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশের এদিনের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, "পার্থপ্রতিম দে, মানুষ সার্টিফিকেট দিলে আপনি প্রধান, না হলে নন। ৪ বছরে যদি গ্রামে একবারও না যান, আপনার প্রধান থাকার অধিকার নেই। সোমবার সকালের মধ্যে আমার কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দেবেন। ব্লক সভাপতিদের বললাম, যেখানে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার প্রভাব ব্লক সভাপতির ওপর পড়বে। আমি এখানে চাকদা ক্রস করার সময়, রানাঘাট ঢোকার পথে তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। পাড়ার নাম ধনিচা। গ্রামের নাম মহানালা গ্রাম। এখানে পঞ্চায়েত প্রধান আছেন? প্রধানকে জিজ্ঞেস করব, এখানে শেষ কবে গেছিলেন? প্রধান আছেন? ৪ বছর প্রধানের দেখা নেই। সে প্রধান থাকবে কেন?'' 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: "একজন বলেছেন টাইম হো গিয়া'' শুভেন্দুর দাবিতে জোর জল্পনা