গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপে লট নাম্বার এইটে মুড়িগঙ্গা নদীর চরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী জাহাজে মেরামতির সময় বিধ্বংসী আগুন। মুহূর্তের মধ্যে জাহাজের ইঞ্জিনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। খবর দেওয়া হয়েছে দমকলে। ঘটনাস্থলে হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ বাহিনী। 


ঠিক কী হয়েছে? 


মেরামতির সময় আগুনের ফুলকির জেরে এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান। মেরামতির জন্য জাহাজটির মধ্যে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার মজুত আছে। জাহাজের মধ্যে জ্বালানিও আছে। ইঞ্জিন থেকে দ্রুততার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা জাহাজটিতে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশে সুন্দরবন পুলিশ জেলার অফিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একটি ইঞ্জিন। বেলা বারোটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় তিন কোটি টাকা।


এদিকে কিছুদিন আগে থেকেই চর সমস্যা দেখা দিয়েছিল মুড়ি গঙ্গা নদীতে। এদিকে, সপ্তাহখানেক পরেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। চর সমস্যায় ভাঁটার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভেসেল চলাচল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ মানুষকে।                                                


২০১৩ সালে মুড়িগঙ্গায় ডুবে গিয়েছিল একটি বাংলাদেশি জাহাজ। ডুবে যাওয়া সেই জাহাজের ওপর ১০ বছর ধরে পলি জমতে জমতে তৈরি হয়ে গেছে আস্ত চর।  নবান্নে গঙ্গাসাগর নিয়ে বৈঠকে এই চর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।                                          


আরও পড়ুন, মকর সংক্রান্তিতে বিশুদ্ধ চিত্তে নিয়ম মেনে চলেন, এর তাৎপর্য জানেন?


কপিলমুনির আশ্রমে যেতে হলে কাকদ্বীপের লট এইট থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে হয়। ওপারে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে আরও এক ঘণ্টার পথ গঙ্গাসাগর। তাই মুড়িগঙ্গায় নাব্যতা ঠিক রাখতে ইতিমধ্যেই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশি বার্জকে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পরে তা আদৌ কেটে তোলা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে