করুণাময় সিংহ, মালদা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে শুরু হতে চলছে ‘ইন্টারন্যাশানাল হাট’ (International Hat)। এই হাটে রাজ্যের তৈরি সামগ্রীর পাশাপাশি পাওয়া যাবে বাংলাদেশের সামগ্রীও। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এই হাট শুরুর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।


কী মিলবে: পদ্মার ইলিশ (Padma Hilsa) হোক বা ঢাকাই জামদানি (Dhakai Jamdani)। বাংলাদেশের এই সমস্ত জনপ্রিয় সম্ভার এবার আরও সহজে হাতের কাছে পাবেন এ পার বাংলার বাসিন্দারা (India)! একইভাবে ভারতের জিনিসপত্রও কিনতে পারবেন ওপার বাংলার (Bangladesh) লোকজন।


সীমান্তের জিরো পয়েন্ট: কারণ আর মাস কয়েকের মধ্যেই, দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বসতে চলছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল হাট’। বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তের ৫টি জায়গায় জিরো পয়েন্টে ‘ইন্টারন্যাশনাল হাট’ শুরুর পরিকল্পনা করছে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। 


কোথায় কোথায় হাট: মালদার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদেও এই হাট বসার কথা। এর জন্য বাংলাদেশের ৭৫ মিটার ও পশ্চিমবঙ্গের ৭৫ মিটার জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে সূত্রের খবর। 


দুই দেশের সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা এই বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন দু’দেশের সীমান্তরক্ষীরা। 


মালদা উত্তরের  বিজেপি সাংসদ  খগেন মুর্মুর কথায়, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যেই মোদি সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে।  বাঙালিরা খুব সহজেই বাংলাদেশের ইলিশ পাবে। আর বাংলাদেশের বাসিন্দাও সহজে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রী পাবে।


 ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কথায়, এই বাজার তৈরি হলে সীমান্ত অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে। আর্থসামাজিক উন্নতিও হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে এলাকার বাসিন্দাদের।


বিএসএফ সূত্রের খবর, কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ সহযোগিতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই ‘ইন্টারন্যাশনাল হাট’ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।  বিএসএফ সূত্রে খবর, ‘ইন্টারন্যাশনাল হাট’তৈরির জন্য ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে।