সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দাম বাড়ুক বা কমুক, তার টান কখনও কমে না। সোনার (Gold) সেই অমোঘ টানেই ক্রেতারা হাজির দোকানে৷ শুক্রবার ধনতেরস (Dhanteras) উপলক্ষে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস এবং এমপিপি জুয়েলার্সের শোরুমে ক্রেতাদের ভিড় ছিল নজরকাড়া।


কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী। এই তিথিতে ধনতেরস উৎসব। ধন অর্থে সম্পদ, তেরস মানে ত্রয়োদশী। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন। যে কোনও ধাতব সামগ্রী কেনাই এই দিনের রীতি। সোনা-রুপোর গয়না কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। শুক্রবার ধনতেরস উপলক্ষে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। 


ধনতেরস উৎসব কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতে পালিত হয়। ‘এই দিনে সোনা-রুপো কিনলে লক্ষ্মীলাভ’, বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। ধনতেরসে ভিড় দেখা যায় সোনার দোকানে। মূলত উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় উত্সব ধনতেরস। বাঙালির ঘরেও এখন কিন্তু এখন সর্বজনীন ৷ বারো মাসে তের পার্বণে অভ্যস্ত বাঙালির ঘরেও এখন ধনতেরস। বিশ্বাস, কালীপুজোর আগে বিশেষ এই দিনে এক টুকরো সোনা বা চাঁদি কিনলেই লক্ষ্মীলাভ নিশ্চিত৷  


অনেকের মতে, ধনতেরসের দিন সোনা কিনলে, ধনদেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ঘরে সমৃদ্ধি আনতে তাই অনেকেই সোনার গয়না কেনেন। শুক্রবার এমপিপি জুয়েলার্সের শোরুমে গিয়ে দেখা গেল, গয়না কেনার উৎসাহে সেখানে এসেছেন বহু মানুষ। 


ভারতীয়দের মধ্যে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। সোনাকে সম্পদ, বিশুদ্ধতা এবং নিরাপত্তার প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি সোনা সব সময়েই একটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবেও বিবেচিত হয়। 


সবাই চান, শুভ দিনে ঘরে আসুক সম্পদ। যাতে সারা বছরের জন্য নিশ্চিত হয় সম্পদ-বৃদ্ধির সম্ভাবনা।                                                                                                       


পুরাণ কাহিনী


সমুদ্রের ক্ষীরসাগর থেকে উঠে এসেছিলেন মহালক্ষ্মী। অমাবস্যার অন্ধকার থাকায় লক্ষ্মীকে বরণ করে স্বর্গে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে আলোকমালায় সজ্জিত করা হয় স্বর্গকে। কালী করেন অশুভ শক্তির বিনাশ আর লক্ষ্মী ঘটান শ্রীবৃদ্ধি। তাই দীপাবলির দু'দিন আগে শুরু হয়ে যায় ধনতেরস। শুরু হয় কেনাকাটা।