রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: সাতসকালে হরিহরপাড়ায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা (Murshidabad Crime)। এরপরেই অভিযুক্তের কপালে জোটে গণপিটুনি। হরিহরপাড়ার কুমড়োদহ ঘাট এলাকায় সকাল দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে।

  


পেশায় দলিল লেখক নুর মহম্মদ শেখ সকালে কাজে এসেছিলেন। কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হয় নুর মহম্মদ শেখ নামের ওই প্রৌঢ়কে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন এক যুবক। আঘাতে লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে নিয়ে যান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার পরেই স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। তাঁর উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। পরে আটক করা হয় ওই যুবককে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেন এভাবে অস্ত্রের কোপ ? তদন্ত করে দেখছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ (Police)। 


তবে কুপিয়ে না হলেও পিটিয়ে খুনের আরও ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে রাজ্যে।  ক্রেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিক্রেতার বিরুদ্ধে। গিরিশ পার্কে নাবালককে পিটিয়ে খুনের  অভিযোগে অভিযুক্ত দোকানি।মৃতের পরিবারের অভিযোগ, 'গুটখার দাম বেশি নেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিল নাবালক। বচসা চলাকালীন নাবালককে মারধর দোকান মালিকের', লোহার শাটারে মাথা ঠুকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।  বাধা দিলে মৃতের দাদাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।  


জুন মাসে  বাইকে গাড়ির ধাক্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাবালক সন্তানের সামনে গাড়ির চালককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল (Beaten to Death)। প্রতিবাদে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। জ্বলেছিল আগুন। এশিয়ান হাইওয়েতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়েছিল। রণক্ষেত্র নকশালবাড়ি (Naxalbaru)। পুলিশ ও প্রশাসন গিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালক ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন নাকশালবাড়ির বিজয়নগরের বাসিন্দা সুনীল নাগাসিয়া (৩৯)। মুড়িবস্তির কাছে একটি বাইককের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়ির। শুরু হয়েছিল বচসা। অভিযোগ, ছেলের সামনেই সুনীলকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে বিজয়নগরের বাসিন্দারা খবর পেয়ে সুনীলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন, দীপাবলির আগে পানিহাটিতে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল এক ব্যক্তির হাত


এর আগে হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জে সাইকেল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ডানলপ (Dunlop) কারখানার আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল হাঁটু মোড়া অবস্থায় হাত বাঁধা দেহ। খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। মূল অভিযুক্ত পলাতক।