রুমা পাল ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: দূষণ নিয়ন্ত্রণ (Air Polution) পর্ষদ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজবাজি (Green Cracker) বিক্রি ও ফাটানো যাবে। কিন্তু বাজারে যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রি হচ্ছে তো সবুজ বাজি? কেনার আগে সচেতন হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


রবিবার কালীপুজো (Kali Pujo)। আলোর উত্সব। সেই সঙ্গে দেদার আতসবাজি আর শব্দবাজির দৌরাত্ম্য। যা একধাক্কায় বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে বাতাসে দূষণের পরিমাণ! পরিবেশ দূষণ রোধে এবার গ্রিন ক্র্য়াকার বা সবুজ বাজি ব্য়বহার বাধ্য়তামূলক করেছে প্রশাসন। কিন্তু মার্কেটে সবুজ বাজির ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে? কোথাও দেখা গেল, বাজির প্য়াকেটের QR কোড নেই, কোনওটায় আবার QR কোড রয়েছে। কিন্তু সেটা স্ক্য়ান করলে, গুগল খুলছে কিন্তু, আসছে না National environmenta Education research institute -এর ওয়েবসাইট


কী বলছেন পরিবেশবিদরা? রিবেশবিদ সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কথায়, আমরা এই বাজি কিনলাম। দেখে নেব কোনটায় কিউআর কোড আছে, কোনটায় নেই। এটা নিরির অ্য়াপে খুলছে না। গুগল অ্য়াপে খুলছে। নিবির অ্য়াপে খোলার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কোনওটায় কোথাও খুলছে না। 


সবুজ বাজির ক্ষেত্রে বেরিয়াম নাইট্রেটের ব্য়বহার একেবারেই নিষিদ্ধ। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গেল, তাও ব্য়বহার করা হয়েছে। পুজোর মুখে রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ১৭ অক্টোবর, পর্ষদের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, সবুজ শব্দবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে এবং সবুজ আতসবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে রাখতে হবে। বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র সবুজবাজি বিক্রি ও ফাটানো যাবে। নিষিদ্ধ বাজির খোঁজে ইতিমধ্য়েই নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ।                                                                                                                   


আরও পড়ুন:   Fire Incident: কলকাতা থেকে খড়গপুরগামী যাত্রীবাহী বাসে বিধ্বংসী আগুন, আহত একাধিক