আবির দত্ত, কলকাতা: আজ ১৪ দিনে পড়ল, বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান। রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এবার ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের চিঠি পাঠাচ্ছেন তাঁরা। ভাঁওতাবাজিতে বিশ্বাস করবেন না, এখানে এসে দেখে যান কী পরিস্থিতি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ত্রিপুরা সফরের পরই, এই মর্মে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি আন্দোলনরত কর্মীদের।                 

  


বকেয়া DA-র দাবিতে আন্দোলন:  মঙ্গলবার, ত্রিপুরার ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখে ছিল বাংলা মডেলের কথা। এরপরই বকেয়া DA নিয়ে আন্দোলনে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছেন শহিদ মিনারে অবস্থানরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা। 'ভাঁওতাবাজিতে বিশ্বাস করবেন না, এখানে এসে দেখে যান কী পরিস্থিতি,' এই মর্মে ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।                    

বকেয়া DA-র দাবিতে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের বুধবার ১৩দিনে পড়ল, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান।  এদিনও, শহিদ মিনার চত্বরে ছবিটা ছিল একইরকম। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। মুখে মুখে স্লোগান। বকেয়া DA-র দাবিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি একদিনের কর্মবিরতি ও ১৭ তারিখ বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর আগে গত রবিবার বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন। শনিবার দুপুর ১টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন।                


কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছেন ৩৫ শতাংশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির টানাপোড়েন চলছে বহু দিন ধরে। এই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করে, DA সরকারি কর্মীদের অধিকার। ওই মামলাতেই  সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ৩ মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।  কিন্তু, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। ১৫ মার্চ তার শুনানি হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে, বকেয়া DA-র দাবিতে এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চাইছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।


 


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মোদি-আদানি সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন, রাহুলের ভাষণের সেই অংশই বাদ দিল সংসদ!