রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA of Dhupguri) আশ্বাসে মহকুমার দাবিতে অনশন প্রত্যাহার করল ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ (Dhupguri Nagarik Mancha)। বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, 'কিছু আইনি জটিলতার কারণে বিষয়টি আটকে রয়েছে। হাইকোর্টের ছাড়পত্র লাগবে।' এ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধূপগুড়ির বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের আশ্বাস মতো কাজ না হলে, ফের অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। উপনির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে অনশনে বসে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। গত কাল, অর্থাৎ শনিবার, তৃণমূল বিধায়কের আশ্বাসে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করা হয়।


প্রেক্ষাপট...
বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে ধূপগুড়ি মহকুমা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। উপনির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায়, ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। তার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গিয়ে নতুন বছর এসে গেলও এখনও ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। ধূপগুড়িকে মহকুমা গঠনের প্রস্তাব পাস হয়েছে রাজ্য় মন্ত্রিসভায়। কিন্তু,আটকে মহকুমা গঠনের প্রক্রিয়া। আইনি জটিলতায় ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রীও। সেই জটিলতা মিটলে মহকুমা গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য় সরকারের তরফে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে অনশন শুরু করে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। ধূপগুড়ি-ফালাকাটা বাস স্ট্য়ান্ডের সামনে অনশনে বসেছিলেন মঞ্চের সদস্য়রা। সংগঠনের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, “একেক বার একেকটা কথা হচ্ছে। কখনও বিধানসভায় বলা হচ্ছে। কখনও মন্ত্রিসভায় পাস হচ্ছে বলা হচ্ছে। আবার নতুন করে যেটা শুরু হয়েছে সেটা হচ্ছে কোর্টের একটা প্রসঙ্গ এসে গেছে। কিন্তু, আমরা যারা ধূপগুড়ির মানুষ ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতিটা শুনেছিলাম সেটা হচ্ছে না।’’বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক শ্যামা প্রসাদের পাল্টা যুক্তি, “ধূপগুপড়ি মহকুমা হোক এটা তো আমরাও চাই। প্রথম থেকেই বলে আসছি। নির্বাচনের সময় নবাব এসে যেভাবে বলে গেলেন আমি যেটা বলি সেটা করি। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে করে দেব। নাটকবাজি আর কতদিন? ভোটে জিতে এখন নাটকবাজি। আপনি জানতেন না যে কী অনুমতি লাগে।’’ 


আরও পড়ুন:চন্দননগরের আলোয় সাজবে অযোধ্যার পথ-ঘাট, ২ কোটি টাকার বরাত পেল বাংলার আলোক শিল্পীরা