খড়িবেরিয়া: ভোররাতে বাস দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল খড়িবেড়িয়া। ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। দুটো যাত্রীবাহী বাসের রেষারেষি ও পরপর ধাক্কার ফলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। ঘটনার পরই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। জনরোষ দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার খড়িবাড়িতে দুই যাত্রীবাহী বাসের রেষারেষি! কলকাতাগামী দুই বাসের রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আহত ৬০ থেকে ৭০ জন রয়েছেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। মহিলা ও শিশুও রয়েছে আহতদের মধ্যে।
দুই বেসরকারি বাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটন ঘটেছিল কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার চড়কতলায়। এসডি- ৮ রুটের একটি বাস অন্য একটি যাত্রীবাহি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। রেষারেষি করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছিল। বাস চালককে ঘটনার পর থেকে আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রাজ্যের বাইরে শুক্রবার ভোররাতে আরও একটি ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন প্রচুর মানুষ। যাত্রীবোঝাই বাসে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী তাতে মারা গিয়েছেন বাসের অন্তত ১২ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে, একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায় বাসে। দুর্ঘটনার সময় চালক ও সহকারীসহ বাসে মোট ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ওই বাইক আরোহীরও। পুলিশের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ হাইওয়েতে কালেশ্বরম ট্রাভেলসের বাসটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি মোটরসাইকেলের। তাতে বাসটিতেই আগুন ধরে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় চালক ও সহকারীসহ মোট ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, বাসটির ঠিক নিচে দু-চাকার গাড়িটি আটকে যায়, যার ফলে আগুন লেগে যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম। আগুন লাগার সঠিক কারণ খুঁজছে পুলিশ। এসি বাস হওয়ায় অনেকেই জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেননি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোরগোল পরে গিয়েছে।