শান্তনু নস্কর, ডায়মন্ড হারবার: বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour News) ফকিরচাঁদ কলেজ (Fakir Chand College)। ছাত্র সংসদে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কলেজের অধ্যক্ষের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ। তার জেরেই তেতে উঠেছে ফকিরচাঁদ কলেজ। বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে সেখানে। অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভের ঝাঁঝ বরং বেড়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ ছাত্রদের মধ্যে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজ বিগত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্যরা কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। তার জেরে গত কয়েক দিনে কলেজে উপস্থিত হননি অধ্যক্ষ সৌমেন চন্দ। মঙ্গলবার ফের কলেজে আসেন তিনি। তাতে পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে।
এ দিন সৌমেনবাবু কলেজে আসার পর প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভের ঝাঁঝ বেড়ে চলে। ছাত্র সংসদে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ করছেন এবং তাতে অধ্যক্ষের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও বহিরাগত হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সৌমেনবাবু। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার ইঙ্গিত নেই এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: IND vs SL 1st ODI: রোহিতকে সামনে দেখে আবেগাপ্লুত অনুরাগী, নিজের আচরণে মন জিতলেন ভারতীয় অধিনায়ক
এর মধ্যেই, এ দিন ছাত্র সংসদের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আর এই তালা ঝোলানো নিয়েই নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অধ্যক্ষের নির্দেশেই ওই তালা ঝোলানো হয়েছে। যদিও চতালা ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সৌমেনবাবু। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
যে ভাবে গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে, তাতে যত দ্রুত সম্ভব কলেজে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছেন সৌমেনবাবু। তাঁর দাবি, ফকিরচাঁদ কলেজে কোনও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই। তার জন্য প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে উচ্চস্তরের কিছু প্রাক্তনীর সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল তাঁর কাছে। সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি সৌমেনবাবুর।
যত দ্রুত সম্ভব কলেজে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আবেদন অধ্যক্ষের
সৌমেনবাবুর দাবি, বেছে বেছে কয়েক জন ছাত্র সংসদের দায়িত্ব নিজেদের হাতে চাইছেন। তার জন্যই আন্দোলন করছেন তাঁরা। এমনকি আন্দোলনকারীদের মধ্যেও বহিরাগত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সৌমেনবাবু জানান, তিনি যা নির্দেশ পেয়েছেন, তা পালন করছেন। যে যেমন, তার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা কলেজেরই পড়ুয়া। কিন্তু বহিরাগতদের কথা মতো কাজ চলে সেখানে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে অধ্যক্ষ তাঁদের অপমান করে বার করে দেন।