সুনীত হালদার, হাওড়া: এবার ডায়মন্ড হারবার মডেল চালু হল হাওড়াতেও। লিলুয়ায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস পরিচালিত এক অনুষ্ঠানে, রবিবার এই প্রকল্পের সূচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।  এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬০ বছরের বেশি বয়সি বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাদের প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে পেনশন এবং রেশন দেওয়া হবে। 


বিশদ..
প্রকল্পের উদ্বোধনে কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ পেনশনের টাকা না দেওয়ায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই পেনশন চালু করেছেন। এর  মাধ্যমে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন তিনি।' কিন্তু এই টাকার উৎস নিয়ে যে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে পারে, তার বেলা? তৃণমূল মুখপাত্রের কটাক্ষ, 'সিবিআই, ইডি নয়। চাইলে রাষ্ট্রপুঞ্জেও ডেপুটেশন দিতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এই প্রকল্প চালাচ্ছেন। হাওড়াতে একই ভাবে এই প্রকল্প চালু হল। ' সঙ্গে সংযোজন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকাটা দিয়ে দিত, তা হলে আর এই সমস্যা হত না।'  
ঘটনা হল, একাধিক প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে অতীতে বার বার সরব হয়েছেন জোড়াফুলের নেতানেত্রীরা। স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন অতীতে। আগামী ১০ মার্চ, শাসকদলের তরফে ব্রিগেডে যে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারও সার কথা এই বঞ্চনার অভিযোগ। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা-সহ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হবে এই সমাবেশে। ব্রিগেডের সভার নাম দেওয়া হয়েছে 'জনগর্জন সভা'। সভার প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও বাঙালি আবেগ হাতিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের। লোকসভা ভোটের আগে এভাবেই ব্রিগেডে শক্তিপ্রদর্শন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনও সেই সুরই শোনা যায় কুণাল ঘোষের গলায়। সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সভাপতি কৈলাস মিশ্র বলেন, '৫০ থেকে ৬০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মাসে ৫০০ টাকা করে পেনশন এবং রেশন দেওয়া হবে। এর সঙ্গে ভোট বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।'


ডায়মন্ড হারবারে ঘোষণা...
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক কর্মসূচিতে সেখানকার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, এমন ৭৬ হাজার ১২০ জনকে বার্ধক্য় ভাতা দেওয়া সূচনা করেছিলেন। সঙ্গে বলেন, 'শুধু এটা ১ মাস নয়, ২ মাস নয়, রাজ্য় সরকার যদি কোনও কারণে না শুরু করতে পারে, যতদিন আমি বেঁচে আছি, আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। এর ব্য়বস্থা আজ যেমন করেছি, আজীবন আপনি যতদিন থাকবেন, এই বার্ধক্য় ভাতা আপনি পাবেন।' 


আরও পড়ুন:'উনি কী ভাবে লুকিয়েছিলেন, সেই ট্রেনিংই দিতে যান', ডিজি-র মাঝরাতের সফর নিয়ে মত দিলীপের