ঋত্বিক প্রধান, দিঘা (পূর্ব মেদিনীপুর) : বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসে চরম বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন এক পর্যটক। সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার মুখে নুলিয়াদের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন তিনি।  দিঘার সমুদ্রে স্নানে নেমে তলিয়ে যেতে বসা ওই পর্যটককে উদ্ধার করল নুলিয়ারা। প্রায় ১০০ মিটার দূরে তলিয়ে গিয়েছিলে ওই পর্যটক। তাঁর বন্ধুদের চিৎকার-চেঁচামেচিচে দেখতে পেয়ে নুলিয়ারা টিউব নিয়ে ঝাঁপ দেন সমুদ্রে। চার নুলিয়ার তৎপরতায় কোনরকমে উদ্ধার করা হয় পর্যটককে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিঘা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই পর্যটকের নাম বিজয় নস্কর ( বয়স ৪৫)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে তাঁর বাড়ি। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসে এই বিপত্তি ঘটে।


এর আগে গত অগাস্ট মাসের শেষে দিঘায় সমুদ্র-স্নানে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পর্যটকের। ওড়িশা উপকূলে উদ্ধার হয় দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন নদিয়ার বাসিন্দা প্রীতম সাধুখাঁ। বিকেল ৫টা নাগাদ নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে সকলে স্নান করতে নামেন। প্রীতম তলিয়ে যান। রাত পর্যন্ত সন্ধান না মেলায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই যুবকের বন্ধুরা। পরদিন সকালে সকালে ওড়িশার উদয়পুর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় নদিয়ার যুবকের দেহ। 


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরও যখন উত্তাল ছিল দিঘার সমুদ্র, তখনও  পুলিশের নজর এড়িয়ে দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে বিপদ ডেকে এনেছিলেন দুই পর্যটক।  সমুদ্রের জলের তোড়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন ২ জন।  হাওড়া থেকে ৪ জন বন্ধু দিঘায় এসেছিলেন।  পুলিশের নজর এড়িয়ে দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নামেন তাঁরা। সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের প্রথমে সমুদ্রে নামতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে নজর এড়িয়ে তাঁরা সমুদ্রে নেমে পড়েছিলেন। 


গত ১৯ অগাস্ট মা-বাবার সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল ছোট্ট সমৃদ্ধ। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঝর্নার জলে তলিয়ে মৃত্যু হয় ৮ বছরের ওই  শিশুর। মঙ্গলবার মা-বাবা পরিজনদের সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা, সমৃদ্ধ দাস। বেসরকারি হোটেলে ছিল পরিবার।  এরপর গাড়িতে করে ঘুরতে যায় জঙ্গলের রাস্তায়। দুপুর নাগাদ পৌঁছয় বেলপাহাড়ির ঘাগড়া জলপ্রপাতের কাছে। পরিবার সূত্রে খবর, আচমকা পা ফস্কে জলপ্রপাতের জলে পড়ে যায় সমৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেন তার বাবা। কিন্তু, জলের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে, ছোট্ট সমৃদ্ধকে উদ্ধার করা যায়নি। কিছুটা দূরে পাথরে আটকে যায় ৮ বছরের শিশুর শরীর।  প্রায় ১ ঘণ্টা পর সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সীকরা।