সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ২০১৪-র প্রাইমারি টেটের ভুল প্রশ্নের মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাজিরা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে।
জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার ২০১৪-র প্রাইমারি টেটের ভুল প্রশ্নের মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার সকাল ১১টায় মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট হয় ২০১৫ সালের অক্টোবরে। সেই পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা হয়। ২০১৮-তে ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল থাকা ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিলেই পরীক্ষার্থীকে পুরো নম্বর দিতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে। ২০২০ সালরে ডিসেম্বরে অনেককেই নিয়োগপত্র দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কিন্তু অভিযোগ ওঠে, আদালতের নির্দেশ মেনে অনেক পরীক্ষার্থীকে ৬টি প্রশ্নের পুরো নম্বর দেওয়া হয়নি। ফলে চাকরিও হাতছাড়া হয় হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর। এরপর তাঁদের অনেকেই নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হন।
সেই মামলায় গত ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে মামলাকারীদের পুরো নম্বর দিতে হবে।
বাড়তি নম্বর দেওয়ার পর, ক্যাটিগরি অনুযায়ী টেট উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান অর্জন করলেই, পরীক্ষার্থীদের নাম চাকরির জন্য বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়াও ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে, মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নিজস্ব রোজগারের টাকায়।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ কীভাবে কার্যকর হবে, তার রূপরেখা না মেলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI