ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রকাশ্যে দিবালোকে দিঘায় বেড়াতে আসা এক মহিলা পর্যটককে প্রকাশ্য রাস্তায় ইভিটিজিং করার অভিযোগে ৭ যুবককে পাকড়াও করল দিঘা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দিঘা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুগলির মগরা থানা এলাকা থেকে পরিবারের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছেন ওই যুবতী। বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিউ দিঘার হলিডে হোম ঘাটের কাছে ঘুরে বেড়ানোর সময় কয়েকজন যুবক তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। কোভিডের কড়াকড়ির জেরে এমনিতেই প্রায় পর্যটক শূন্য রয়েছে দিঘা। ফাঁকা রাস্তার সুযোগ নিয়ে তাঁরা যুবতীকে রীতিমতো উত্তেজিত করে।
হুগলি থেকে সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলেন একদল মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, সৈকতে দাঁড়িয়ে উত্যক্ত করছিলেন ওই সাত যুবক। প্রতিবাদ করলেও কান দেননি তাঁরা। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় মহিলাদের দল। পুলিশ তার পরেই ওই সাত অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
সম্প্রতি করোনাগ্রাফ চড়চড় করে বাড়তেই দার্জিলিং থেকে দিঘা, পুরুলিয়া থেকে বীরভূম, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে করোনা বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। হয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট অথবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে পর্যটকদের ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গত মাসেই দিঘা-মন্দারমণিতে করোনা বিধি উড়িয়ে পর্যটকদের হুল্লোড় আটকাতে কড়ায় হয় প্রশাসন। নিয়ম জারি করা হয়, কোনও পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়ার আগে তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ কিনা দেখে নেওয়া হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এই এলাকায় ঢুকতে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাস্তায় চলছে নজরদারি। এছাড়া দূরত্ববিধি নিয়েও চলছে কড়াকড়ি। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক জানিয়েছিলেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে ৫০% পর্যটকদের হোটেলে রাখতে বলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দেখা যায় কোনও কোনও হোটেলে ১০০% পর্যটক রয়েছে। পাশাপাশি হোটেলের রেজিস্টারে কারচুপির ঘটনাও নজরে এসেছে বলে দাবি জেলা শাসকের।