কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : তৃণমূল বিধায়ককে জুতো পরিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি, এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে যায় মুহুর্তে। শুধু তাই নয়, জোর বিতর্কও শুরু হয়েছে গোটা ঘটনাটি নিয়ে। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতিতেও তুলকালাম।


বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় একটি রক্তদান শিবির ছিল। সেখানেই যোগ দেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে জুতো পরিয়ে দিতে দেখা যায় দুই অনুগামীকে। বুধবার বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাধারানি স্টেডিয়ামের হলে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ওই শিবিরে ৮০ জন রক্ত দেন এমনটাই খবর।


বিজেপির অভিযোগ ওই ব্যক্তিরা দেহরক্ষী ছিলেন খোকন দাসের। সরকারি কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করানোর অভিযোগও তোলা হয়। বিজেপির কটাক্ষ, বিধায়ককে জুতো পরিয়ে দেওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যদিও তৃণমূল বিধায়ক নিজেই এক অভিযোগ অস্বীকার করেন। 


তাঁর পাল্টা সাফাই, চেহারা ভারী হওয়ার কারণে ঝুঁকতে অসুবিধা হচ্ছিল। বিধায়ক বলেন, আমার জুতো আমিই পরি। একটা চেন ছিল। সেটা আটকাতে অসুবিধা হচ্ছিল। সেটা আমার ভাইপো আটকে দেয়। 


প্রসঙ্গত, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এর আগে বিধায়ক হিসেবে পুরসভার টেন্ডার কমিটির মিটিংয়ে থেকে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বিজেপি সাংবাদিকদের টাকা আর মদ দিয়ে কিনে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল বলেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এবার জড়ালেন জুতো বিতর্কে।


উল্লেখ্য, এই বিষয় নতুন নয়। ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মন্ত্রী রচপাল সিং এর আপ্ত সহায়ককে একটি অনুষ্ঠান শেষে দেখা গিয়েছিল মন্ত্রীর জুতোর ফিতে বেঁধে দিতে। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল সে সময়। যদিও পরে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে যিনি জুতোর বেল্ট ক্লিপে পরিয়ে দিয়েছেন তিনি বিধায়কের নিজস্ব ভাইপো নন। বর্ধমানের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডোমপাড়ার বাসিন্দা অমিত মল্লিক।