পূর্ব মেদিনীপুর: কাল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, আজ মহাযজ্ঞে মুখ্যমন্ত্রী। পুরো দিঘাকে সাজানো হয়েছে নীল-সাদা রঙের তোরণে। দিঘার মূল রাস্তা এবং সমুদ্র তটকে আলোর মালায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার জগন্নাথদেবের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে শুরু হয়েছে একলক্ষ বার মন্ত্রোচ্চারণ। পুরীর মন্দির থেকে এসেছেন রাজেশ দ্বৈতাপতি। মন্দির চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে মহাযজ্ঞের। দিঘা স্টেশনের একেবারে কাছে তৈরি হয়েছে এই জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গার ওপর, মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। খরচ হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে গণহত্যা, জঙ্গিদের মদত দিয়ে ঘরেই বিদ্রোহের মুখে পাক সেনা প্রধান !
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' ধর্মটা হচ্ছে মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মটা হচ্ছে হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। .. আমি পুজো করি সবার জন্য। মা, মাটি, মানুষ-প্রত্য়েকের। এটা আমার চিরকালের অভ্যাষ। সবাই ভাল থাকলে, আমি ভাল থাকব। তাই সবার হয়ে অর্পণ করা হল। ভাল থাকবেন সবাই। কাল বেলা আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। বেলা তিনটের দিকে দ্বার উদ্বোধন হবে।' অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। শুরু হয়ে গেছে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠান জন্য এক লক্ষ বার মন্ত্রোচ্চারণ।৩০ এপ্রিল দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের দিন আয়োজন করা হয়েছে মহাযজ্ঞের। সেই মত মঙ্গলবারই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার মুকুটে নতুন পালক। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। শুরু হয়ে গেছে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠান জন্য এক লক্ষ বার মন্ত্রোচ্চারণ...।পুরীর মন্দির থেকে এসেছেন রাজেশ দ্বৈতাপতি। মন্দির চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে মহাযজ্ঞের।
সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার শেষ হবে ১ লক্ষবার মন্ত্রোচ্চারণের কাজ। তারপরই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার। ওইদিনই দিঘায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের মাঝামাঝি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, আমার দীর্ঘদিনের একটা কল্পনা ছিল। যেহেতু সমুদ্রের ধারে পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দির আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। দিঘাতে এমনিতেই ট্যুরিসম স্পট আছে। এটা একটা নতুন কর্মক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্র এবং বিশেষ করে এই হিসাবে অনেক বাজার গড়ে উঠবে। অনেক মানুষ কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেন। এটা পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটা সংযোজন হবে। দিঘা রেল স্টেশনের একেবারে কাছে মাথা তুলেছে জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গার ওপর, মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। খরচ হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। সেই স্থাপত্য়...সেই কারুকাজ। এক ঝলকে দেখে পুরী বলে ভুল হতে বাধ্য।
দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। পুরীর মন্দিরের মতোই, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ৪টি দুয়ার। এই হল মন্দিরের মূল ফটক । মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর, প্রথমেই পড়বে দীপস্তম্ভ... তারপর অরুণ স্তম্ভ। অরুণ দুয়ার পার করে, একটু এগোলেই, সামনে পড়বে সিংহ দুয়ার। সিংহ দুয়ারের ঠিক উল্টোদিকে ব্য়াঘ্র-দুয়ার। মন্দিরের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে, বাঁ হাতে পড়বে হস্তি দুয়ার। আর ডানদিকে, অশ্ব দুয়ার। পুরীর মন্দিরের মতোই, এখানেও মূল মন্দিরের ৪টি ভাগ...গর্ভগৃহ... তার সামনে জগমোহন... তারপর নাটমণ্ডপ... এবং তারপর ভোগমণ্ডপ। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আলো দিয়ে সাজানো দিঘা। ভেতরে ও বাইরে বসার জন্য তৈরি হয়েছে পার্ক। উদ্বোধনের পর পুরীর মন্দিরের মতো আগামী ৩০ তারিখ ভোগ বিতরণ করা হবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মধ্যে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই, এখানেও প্রতিদিন ধ্বজা উত্তোলন হবে। অক্ষয়তৃতীয়া থেকে রাজ্য়ের সমুদ্রসৈকতেই মিলবে জগন্নাথ দেবের দর্শন।