কলকাতা: বাগুইআটি থেকে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে খুন। পরে বাসন্তী হাইওয়ের দুটি ভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হল মৃতদেহ। আর এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। ২ কিশোরের খুনের ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, রাজনীতিবিদদের রক্ষা করতেই ব্যস্ত পুলিশ। তাঁর কথায়,"পুলিশ তো নিষ্ক্রিয়। পুলিশ খালি বিরোধীদের আটকাতে, নেতাদের বাঁচাতে গিয়ে সক্রিয়। এই ধরনের খুন হচ্ছে, কিশোরদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারা হচ্ছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। সেটা চাপা দেওয়ার জন্য গুন্ডারা, নেতারা, পুলিশরা চলে আসছে। তার প্রতিবাদও করা যাবে না। আমাদের রাজ্য সভাপতি গিয়েছিলেন দেখা করতে, তাঁকেও গুন্ডা দিয়ে আটকানো হয়েছে। কোথায় প্রশাসন আছে।''


জোড়া খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: সন্তানহারা পরিবারের এই যন্ত্রণার দায় কার? দুই কিশোরকে এই নির্মম পরিণতির শিকার হতে হল কেন? দু-দু’টো পরিবারকে এভাবে সন্তান হারাতে হল কেন? কী করছিল পুলিশ? বাগুইআটিকাণ্ডে এখন প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা! বাগুইআটি থেকে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের দাবি, প্রায় ২ সপ্তাহ মর্গে ২ কিশোরের দেহ পড়ে থাকলেও, তাদের যে খুন করা হয়েছে তাই জানত না পুলিশ। সূত্রের খবর, এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরই পুলিশ জানতে পারে, ২ কিশোরকে খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেও এখনও সেই রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ। সূত্রের খবর,  ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে খুন করানো হয়েছে বাগুইআটির ২ কিশোরকে। খুনের আগে রাজারহাটে নিয়ে গিয়ে তাদের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়ানো হয় চা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়াটে খুনিদের বলা হয়েছিল, একটা কাজ করতে হবে। তার জন্য দেওয়া হবে টাকা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে গাড়িতে খুন করা হয় ২ কিশোরকে। গাড়িতে ২ কিশোর সহ ছিল ৬ জন। তবে ঘটনার পর থেকে ২ ছাত্রেরই মোবাইল ফোন উধাও।     


বাগুইআটির ঘটনায় তুঙ্গে তরজা: জোড়া খুনের ঘটনায় তুঙ্গে রাজনীতি। গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিহত অতনু’র বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ফিরে যাওয়ার পর নিহতের বাড়িতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সী। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে তৃণমূল বিধায়কের কিছুক্ষণ আগে সুকান্ত মজুমদার সেখানে পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শেষ অবধি নিহত অতনু’র বাড়িতে ঢুকতে পারেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আটকানোর অভিযোগে সরব হন তিনি। 


আরও পড়ুন: Baguiati Twin Murder: দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার, খবর পৌঁছেছিল বিধাননগর কমিশনারেটে! দাবি সূত্রের