কলকাতা: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) প্রাপ্ত আসন সংখ্যার নিরিখে বিজেপিকে (BJP) অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। দেশের মতো বাংলাতেও বিজেপির গ্রাফ নিম্নমুখী, ২০১৯ সালে যেখানে তারা এরাজ্যে ১৮টা আসন পেয়েছিল সেখানে এবার তারা জিতেছে ১২টি আসনে। এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে লাগাতার আক্রমণ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। নাম না করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
বঙ্গ বিজেপির হার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাজনীতিতে পুরনো লোকেদের ভুললে চলবে না। সংগঠন দুর্বল হয়েছে, সাংগঠনিক বদলের উপরেও মানুষ আস্থা রাখতে পারেনি। নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। পার্টির নেতা বানানো যায়, জনগণের নেতা বানানো যায় না', দলেরই একাংশকে নিশানা করে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।
এদিকে পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ডায়মন্ড হারবার, কেশপুর মডেলে ছাপ্পার পরও ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ভোট পাওয়া বিরাট ব্যাপার। যাঁরা এখন বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন, তাঁরা অতীত জানেন না। আগের থেকে বিজেপির অবস্থা অনেক ভাল। তখন আইপ্যাক ছিল না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও ছিল না'।
রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে কি ক্রমেই দ্বন্দ্ব বাড়ছে দিলীপ ঘোষের? কেন্দ্র বদল নিয়ে ফের নাম না করে নেতৃত্বের একাংশকে নিশানা করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেছেন, প্রথমে রাজি না হলেও, পার্টির নির্দেশ মেনে গেছিলাম। পাশাপাশি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন ওল্ড ইজ গোল্ড। দিলীপ বলেছিলেন, 'দলের ধারণা ছিল, আমি গেলে ওখানে জিতে যাব। মেদিনীপুর তো জেতা আসন। কিন্তু উল্টো হয়ে গেল ব্যাপারটা। প্রথমে আমি রাজি হইনি, কিন্তু পার্টির নির্দেশ আমি মেনে গিয়েছিলাম।' প্রতিক্রিয়ায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, 'অতি আত্মবিশ্বাস দেখানোর জায়গা নেই', তৃণমূলের নব নির্বাচিত সাংসদদের সতর্ক করলেন মমতা
এতদিন, তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের অভিযোগ তুলত সিপিএম-কংগ্রেস। ভোটের ফলপ্রকাশের পর এবার সেই সেটিংয়ের অভিযোগ তুললেন, বিষ্ণুপুরের জয়ী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ! শুধু তাই নয়, ইঙ্গিতপূর্ণভাবে, খারাপ ফল নিয়ে রাজ্যে নেতৃত্বের একাংশকে তুলোধনার পাশাপাশি, অভিষেকের প্রশংসা করলেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে