বীরভূম: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (World Heritage) ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) নাম। আর এনিয়েই কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে। এরপরই আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুসারে জানান হয়েছে নতুন ফলক দ্রুত লাগানো হবে।
ফলক-বিতর্ক
বাঙালির প্রাণের কবি, বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই নাম নেই এই ফলকে। নাম আছে কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এই নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুর ছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ফলকে রবিঠাকুরের নাম লিখতে 'ডেডলাইন' বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যদি ইউনেসকোর হেরিটেজ স্বীকৃতি মিলে থাকে সেটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। হ্যাঁ, তিনিই শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর স্রষ্টা। ওঁর নাম সরিয়ে দিয়েছে।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারির পর, শান্তিনিকেতনের কবিগুরু মার্কেটের সামনে ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। এদিকে, এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ফলক বিতর্কের মাঝেই রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুসারে নতুন ফলক দ্রুত লাগানো হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পশ্চিম বাংলায় এমন কোনও ফলক আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই। তিনি কোন মুখে বলেন এটা। আমার মনে হয় আসল কথাটা উনি বলতে পারছেন না ওনার নমটাও থাকা উচিত। সেটা তো সম্ভব নয়।'
অন্যদিকে, ফলক বিতর্ক ঘিরে তোলপাড়ের মাঝেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যর মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ ও প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের উপাচার্যকে হুঁশিয়ারিতে তুঙ্গে উঠল তরজা। উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফেরত চেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি লেখেন, 'আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন। আপনার ২ সিনিয়র মন্ত্রী জেলে আছেন। আপনার বিশ্বস্ত সহযোগীরা তিহাড়ে বন্দি। তৃণমূল সরকার কয়লা, গরু, রেশন কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত'। পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এসেছে তৃণমূলের তরফেও।