রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ডিএ মামলা এবার গড়াল সুপ্রিম কোর্ট অবধি। ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও, তা খারিজ করে দেয় আদালত। এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
কী বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি?
দিলীপ বলেন, "সরকারের আর কোনো কাজ নেই। শুধু কোর্টে কোর্টে মুখ বাঁচাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উন্নয়ন নেই, আইন শৃঙ্খলা নেই। চারিদিকে বোমা বন্দুক আর স্ক্যাম চলছে। টাকা নেই কেন? বাকি রাজ্যগুলো কী করে ডিএ দিচ্ছে? কেন্দ্র কী করে দিচ্ছে? একই নিয়মে তো সব রাজ্য টাকা পায়। এ রাজ্যে টাকা কোথায় যায়? সাড়ে ১৪ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ডের ১৬০০ কোটি টাকা বছরে লুঠ হচ্ছে। ৬২ লক্ষ বাতিল রেশন কার্ডের রেশন লুঠ হচ্ছে। কত বড় পেট নেতাদের একবার ভাবুন। সব টাকা নেতাদের পেটে যাচ্ছে।"
এবছরের ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। সময়সীমা শেষের আগে, ১২ অগাস্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে, হাইকোর্টে যায় রাজ্য। ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে, রাজ্য সরকার দাবি করে, সরকারি কর্মীদের কোনও DA বকেয়া নেই। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে। পুরনো রায় বহাল রাখে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন, স্কুলে নিম্নমানের মিড ডে মিল দেওয়ার প্রতিবাদ, শিক্ষিকাকে ‘মার’ প্রধান শিক্ষিকার
এবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। DA’র দাবি নিয়ে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনি লড়াই চলছে বহুদিন ধরে। ২০১৭’র ফেব্রুয়ারিতে SAT রায় দেয়, DA দয়ার দান। তা দেওয়া, বা না দেওয়া, রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৩০ মার্চ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মী সংগঠন। ২০১৮ সালের ৩১ অগাস্ট, কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, DA সরকারি কর্মীদের অধিকার। ২০১৯’এর ২৬ জুলাই, SAT নির্দেশ দেয়, ১ বছরের মধ্যে সরকারি কর্মীদের DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার তা না দেওয়ায়, সরকারি কর্মী সংগঠন ফের SAT’এর দ্বারস্থ হয়। রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিল করলেও তা খারিজ করে SAT। তারপর রাজ্য সরকার হাইকোর্টে আবেদন জানায়। এবছরের ২০ মে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া DA মেটাতে হবে।
তবে এবার রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA পাওয়ার সামনে ফের প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে গেল।