জয়ন্ত পাল, দমদম: স্কুলে নিম্নমানের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) দেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষিকা (Teacher)। তার বদলে জুটল মার, তাও প্রধান শিক্ষিকার হাতে। এমনই অভিযোগ উঠল দমদম মতিঝিল গার্লস স্কুলে (Dumdum Motijheel School)। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা।
নিম্নমানের মিডে মিলের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল খাস কলকাতার এক স্কুলে। প্রতিবাদ করে প্রধান শিক্ষিকার হাতে আক্রান্ত হলেন শিক্ষিকা। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে দমদম মতিঝিল গার্লস স্কুলে। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে নিম্নমানের মিডে মিল দেওয়া হচ্ছে।
স্কুলের খেলার মাঠ অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতেই বাংলার শিক্ষিকা গার্গী মুখোপাধ্যায়কে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
দমদম মতিঝিল গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা গার্গী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমি এর আগেও প্রতিবাদ করেছি বলে আমাকে নিয়ে সমস্যা। মিড ডে মিলে জঘন্য খাবার দেওয়া হয়। আগে কত পড়ুয়ারা খেত, এখন কেউ খেতেই চায় না। এছাড়া বাথরুমেরও খারাপ অবস্থা। আমি বলেছিলাম বলে আমাকে উনি বলেছিলেন আপনি জমাদার খুঁজে নিয়ে আসুন। পড়ুয়াদের হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই আমার আজ এই অবস্থা। আমি বোর্ডকে সব জানাব।"
আরও পড়ুন, 'এমন একটা আবহাওয়া থাকি, যেখানে ডেঙ্গি হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি', মন্তব্য ফিরহাদের
অন্যদিকে, দমদমের মতিঝিল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে বলেন, "সব অভিযোগ মিথ্যে। কোনও শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়নি। উল্টে আমাকে ঘেরাও করে রাখা হয়।" অন্যদিকে, মতিঝিল গার্লস স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তিমিরবরণ পাল বলেন, "এটা একটা নিন্দনীয় ঘটনা। আগে কখনও দেখিনি। প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হোক, না হলে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক।"
শুক্রবার শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিরা স্কুলে এসে ঘটনার খোঁজ নেন। স্কুলের পরিচালন কমিটি সূত্রে খবর, এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।