সৌমিত্র রায়, নিউটাউন: কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। 


কয়লাকাণ্ডে গতকাল নয়াদিল্লিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ৯-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে থেকে বেরিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান অভিষেক। বলেন, সব করব, মাথা নত করব না। শিরদাঁড়া বিক্রি করব না। ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাবই।


মঙ্গলবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ ইডি-র জেরার পর অনেকে আবোল-তাবোল কথা বলে। তাঁর প্রশ্ন, জীবন কোথায় দিচ্ছেন? জীবন নিয়ে তো পালিয়ে গেল নেতারা। 


দিলীপ বলেন, ৯ ঘণ্টা যদি ইডি জেরা করে, তখন লোকে অনেকেই আবল-তাবোল বকে। সবে তো শুরু হয়েছে। যে নেতারা ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন তাঁদের চেহারাই পাল্টে গিয়েছিল।  এতদিন ভেবেছিল পুলিশ-সিআইডি দিয়ে চালিয়ে দেবেন। চমকে রেখে দেবেন, যা ইচ্ছা করবেন। ওনাদের রাজত্বে কয়লা, বালি, পাথর লুঠ হয়েছে। গরু পাচার হয়েছে। 


বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, একটা পার্টি অফিসিয়ালি এই কারবারগুলি করছে, তাদের সব নেতা জড়িত। পুলিশ অভিযোগ নেয় না। আইনশৃঙ্খলা কার হাতে আছে?


তিনি যোগ করেন, আদালতও কোনও না কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই তাদের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিচ্ছেন, কতটা সৎ ছিল ওরা।


সম্প্রতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির ২৫টি বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই ইস্যুতে দিলীপ বলেন, আমি জানি না পঁচিশ না পঞ্চাশ। আমাদের পার্টিতে অনেক নেতা এসে বলেছিল একশো আছে, দেড়শো আছে। এসব ডায়লগ দিতে হয়। আগে তো ওনাদের বিধায়ক-সাংসদরা ইডি সিবিআই থেকে বাঁচুক। তারপর আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে ভাববেন।


উপ নির্বাচন নিয়ে আইনি পথে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনি পথে যাওয়ার আছে কি না সেটা নিয়ে আইনজীবীরা দেখছেন।  সেটা নিয়ে আজ আলোচনা হবে। যদি মনে হয়, তাহলে যাব।