আশাবুল হোসেন ও রুমা পাল, কলকাতা:  প্রতিবারের মতোই এবারও দুর্গাপুজোর (Durga Puja )আয়োজক রাজ্যের ৩৬ হাজার ক্লাবকে, ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ এই হিসাব অনুযায়ী সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসে রাজ্য সরকার। সেখানেই অনুদানের কথা ঘোষণা করা হয়। 

তবে, পুজোর দামামা বাজার মধ্যেই, ভোট-পুজোর দামামাও বেজে গেছে।  ভবানীপুরে প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাই ভোটের দিন ঘোষণার পর, পুজোর অনুদান ঘোষণার মধ্যে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ দেখছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তারা। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে গিয়ে নালিশ জানায় বিজেপি। বুধবার এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, 'আগে সাধারণ মানুষের চাঁদায় পুজো হত। এখন সরকার অনুদান দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেন কবে পুজো, কবে বিসর্জন। পুজোর অনুদান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। '


আরও পড়ুন: 'ইডি-র জেরার পর অনেকে আবোল-তাবোল কথা বলে', অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের


বিজেপির অভিযোগ, ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে ভবানীপুরের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে সুবিধা পাইয়ে দিতেই ভোটের আগে এই অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। 'প্রার্থীর উপস্থিতিতে দান-খয়রাত ঘোষণা। বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছে। ' মুখ্যমন্ত্রীর পুজোয় অনুদান ঘোষণায় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, 'গত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এ রাজ্যে কংগ্রেসের ভূমিকা তাঁরাই পালন করবেন। ফল পেয়েছে, এ রাজ্যে কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। আগামী লোকসভায় সাংসদও শূন্য হয়ে যাবে।'

সবমিলিয়ে, বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ঘিরে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভবানীপুরের উপ নির্বাচন।