পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বেহালায় মা-ছেলের খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অনুযায়ী, খুন হওয়ার দিন দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে খুন করা হয় সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ১৩ বছরের ছেলে তমোজিতকে। মা-ছেলের পাকস্থলীতে মিলেছে খাবার, কিন্তু মেলেনি বেহুঁশ করার মতো কোনও পদার্থ। সুস্মিতার দেহে প্রায় ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার নলি কাটা ছাড়াও কিশোরের দেহেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে মা-ছেলের। জোড়া খুনের ঘটনায় গৃহকর্তা তপন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতার স্বামীর বয়ানে অসঙ্গতি ছাড়াও আংটিতে রক্তের দাগ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় পেশায় শিক্ষিকা বছর পয়তাল্লিশের সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিত্‍ ঘরে ছিলেন। মহিলার স্বামী, বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী তপন মণ্ডল ছিলেন অফিসে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ২টি আলাদা ঘরে পড়ে ছিল মা ও ছেলের মৃতদেহ।  একজনের বেশি আততায়ী থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ঘরে ধাক্কাধাক্কির চিহ্ন মেলেনি। প্রতিবেশীরা কেউ চিত্‍কারও শুনতে পাননি।



পুলিশ সূত্রে দাবি, যে মোবাইল ফোনে ক্লাস চলছিল, সেটি উধাও বলে দাবি। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিকেলে প্রাইভেট টিউটর এসে সাড়া না পেয়ে ফিরে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা অতিরিক্ত সতর্ক ছিলেন। আই হোল দিয়ে না দেখে তিনি দরজা খুলতেন না। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে কি পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলেছিলেন মহিলা?  স্বামী যখন ফ্ল্যাটে আসেন, তখন ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। ঘর থেকে কিছু সোনার গয়না, মোবাইল ফোন ও চাবি খোয়া গেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। এই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।