কলকাতা: দোরগড়ায় লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024) লোকসভার ভোটে বাংলায় ৩৫ আসন জেতার লক্ষ্য রয়েছে বিজেপির। তার আগে বাংলায় ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি করা হল। রাজ্যে ১৫ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করেছেন শাহ-নাড্ডা। এই ইস্যুতে এদিন নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। উঠে এল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ,তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ইস্যু, পরিবহণ বিল প্রসঙ্গও।
' আমি টার্গেট বেঁধে দেওয়ার লোক নই,আমি টার্গেটে পৌঁছনোর লোক '
পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। আপনি বললেন বিজেপি ২৫ টি আসনের দিকে তাঁকিয়ে। টার্গেট ফিগারের ক্ষেত্রে এই তারতম্য কেন? এই প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি তো কোথাও বলিনি ২৫। আমি টার্গেট বেঁধে দেওয়ার লোক নই । আমি টার্গেটে পৌঁছনোর লোক। উনি ৩৫ দিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করছি। যারা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, তাঁদের ব্যাপার।'
'সেনাপতি ছাড়া যুদ্ধ জেতা যায় না'
তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পুরনো সেনাপতির অবসরের বয়স হয়ে গেছে। তিনি নিজে বা তার সেনাপতি রা সেটা মানতে চাইছে না। পরিবার থেকে দেশ, নতুনদের জায়গা দিতে হয়। না দিলেই সংঘর্ষ হয়। যেটা এখন তৃণমূলে হচ্ছে। ক্ষমতা কেউ ছাড়তে চাইছে না। কেউ পদত্যাগের কথা বলছে। কেউ দেহত্যাগের কথা বলছে। পাবলিক এদের ত্যাগ করলে তবে এদের জ্ঞান হবে। এই সব পার্টি বেশিদিন না থাকাই ভাল।'
২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হাইপার অ্যাক্টিভ থাকবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি : আর জে ডি সাংসদ মনোজ ঝাঁ
এই ইস্যুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'জানি না কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন? সিবিআই- ইডি সারা বছর সক্রিয়। এই সরকারের গতবারের শাসনকালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। উন্নয়ন আটকে গেছিল। এই দুর্নীতিতে বহু লোক জড়িত ছিল। তারা তাদের কাজ করছেন। যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ভয় পাওয়ার কথা।'
'লিপ্স এন্ড বাউন্স' -এর সম্পত্তি অ্যাটাচ
দিলীপের দাবি,' আজ না। বহুদিন ধরে বিতর্কিত এই সংস্থা। মানুষের মুখে মুখে এই নাম ঘুরত। পরে তদন্ত শুরু হয়। কোর্টে মামলা হয়। এরপর একে একে ধরা পড়েন। বিভিন্ন তথ্যে প্রমাণিত, বিচার হবে। তদন্ত এগোচ্ছে। বুঝতে পারছি না একটা গলার স্বর নিতে এতো টালবাহানা কেনো? ওখানেই কি রহস্য লুকিয়ে আছে? দরকারে এরকম লোক কে জোর করে তুলে এনে গলার স্বর নেওয়া উচিত। যার কথার মধ্যে এতো বড় দুর্নীতি লুকিয়ে আছে। সত্য সন্ধানে যিনি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কেন আদালত সিবিআই ইডি কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না সেটা আমাদেরও প্রশ্ন।'
আরও পড়ুন, 'বিনা কারণে নৌকা বাজেয়াপ্ত করছে বনকর্মীরা', 'জুলুমের' প্রতিবাদে বিক্ষোভ মৎস্যজীবীদের
পরিবহণ বিল নিয়ে পিছু হঠল কেন্দ্র
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আলোচনা অবশ্যই হয়েছে। আমিও ছিলাম। চিদাম্বরম ছিলেন। তাবড় লোক ছিলেন। তৃণমূলের কাকলী ঘোষ দস্তিদার ছিলেন। ডেরক ব্রায়েন ছিলেন। ওরা বেশির ভাগ মিটিং শেষ দিকে অ্যাটেন্ড করতেন না। মুখ দেখিয়ে চলে যেতেন। সরকার মনে করে, যাদের কথা ভেবে এই আইন , সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে এই বিল। গাড়ি বাড়ছে। গতি বাড়ছে। যারা চালক আছেন, তাদের সতর্ক করার জন্য এই বিল। '