কলকাতা: 'গ্রামে গ্রামে কারা বোমা ফাটাচ্ছে , কারা সাপ্লাই করছে বোঝাই যাচ্ছে। আমরা যখন অভিযোগ করি তৃণমূলের লোকেরাই বোমার কারখানা করছে; বোমা বিক্রি করছে; বোমা ফাটাচ্ছে। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা আমাদের দিকে আঙুল তোলে! এখন তো পরিষ্কার হয়ে গেল।'' ভাঙড়ে বোমাবাজি এবং তৃণমূল নেতার গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের (Dilip Ghosh)।                         


তৃণমূল নেতার গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা: মাঠে বোমা, রাস্তায় বোমা, এবার গাড়িতেও বোমা, ভাঙড় জুড়ে যেন বোমা কালচার। অভিযোগ, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলেকে যে গাড়িতে চ়ড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়, সেই গাড়ির ড্য়াশ বোর্ড থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার যখন ISF ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত, তখন, কাঁঠালিয়া চৌমাথা এলাকায় এখানেই এই তিনটে গাড়িতে ব্য়াপক ভাঙচুর চলে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়, সামনের কাচ। ভাঙচুর করা হয় ভিতরেও। এরপরই দেখা যায়, ৩টির মধ্য়ে ২ টি গাড়িতে রয়েছে তাজা বোমা। সাদা এই গাড়িটির ড্য়াশবোর্ডে রাখা ছিল বোমা। আর কালো বোলেরো গাড়িটির পিছনের সিটের নীচে পড়ে ছিল আরেকটি বোমা। সূত্রের খবর, ভাঙচুর হওয়া তিনটে গাড়ির মধ্য়ে এই সাদা গাড়িটি আরাবুল ইসলামের ছেলে, হাকিমুলের।         


ওই গাড়ি থেকে কোনও বোমা উদ্ধার না হলেও, অদূরে, সাদা গাড়ির ড্য়াশবোর্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, এই গাড়িটি তানজিলা বেগম নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। কিন্তু, অভিযোগ এই গাড়িতে নাকি বেশিরভাগ সময় দেখা যেত, আরাবুলের ছেলে হাকিমুলকে।  কালো বোলেরো গাড়ির মালিক, আরাবুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাকিকুল্লা গাজি। গাড়িটির পিছনে নম্বর প্লেট থাকলেও সামনে নেই।


এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “গ্রামে গ্রামে কারা বোমা ফাটাচ্ছে, কারা সাপ্লাই করছে বোঝাই যাচ্ছে। নেতার গাড়ির মধ্যে বোমা নিয়ে ঘুরছে। কীরকম আহাম্মক দেখুন! এটা যদি কোনও কারণে ফাটে গাড়িও তো উড়ে যাবে; মারা যাবে। এত বেপরোয়া হয়ে গেছে, যে জানে নেতার গাড়িতে পুলিশ হাত দেবে না।''


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?